রাজশাহী: ২০-দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধের পাশাপাশি ৭২ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনে (সোমবার) রাজশাহীতে অবরোধ ও হরতালের কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে যানবাহনের চলাচল অনেকটায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, মণিচত্বর, সোনাদীঘির মোড়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চাপ ছিল চোখে পড়ার মত। দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরের কোথাও কোনো পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। মামলা ও আটক হওয়ার ভয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারা গা ঢাকা দেওয়ায় গত একমাস থেকে কোথাও অবরোধ-হরতালের সমর্থনে মিছিল পর্যন্ত হয়নি।
তবে হরতালের সমর্থনে সকালে দাশপুকুর এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে শিবির। এ সময় তারা সড়কে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়।
র্যাব-৫ রেলওয়ে কলোনী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মীর্জা গোলাম সারোয়ার বাংলানিউজকে জানান, সোমবার ভোর ৬টার দিকে মহানগরের দেবিশিংপাড়া থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১১টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
এদিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ জন বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি এবং ৬ জন বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী রয়েছে। বর্তমানে তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তিনি আরও জানান, হরতালের দ্বিতীয় দিনে রাজশাহীর কোথাও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করে নাশতা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া র্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লা পর্যায়ে পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রাজশাহী রেলস্টশন থেকে বিভিন্ন রুটের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫