ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ২৪ ঘণ্টার মধ্য হরতাল ও অবরোধ প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচির সমাবেশে তিনি এ আলটিমেটাম দেন।
সেখানে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পরিষদের আহবায়ক হিসেবে অবস্থান-সমাবেশ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার মানুষ এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সমাবেশে শাজাহান খান দুই দিনের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে ট্রাক মিছিল ও বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শাপলা চত্ত্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত পতাকা মিছিল ও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার না করলে সরকার তাকে (খালেদা) দ্রুত গ্রেফতার করবে। যদি সরকার তাকে গ্রেফতার না করে তাহলে দেশের শ্রমিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং জনতা তাকে কাশিমপুর কারাগারে রেখে আসবেন।
এর আগে সকালে গুলশান ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের সামনে শাজাহান খানের নেতৃত্ব বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। সেখানে একটি সমাবেশ শেষে বেলা ১২টার দিকে মিছিল সহকারে খালেদার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে আসার চেষ্টা করেন তারা। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে কার্যালয়ের সামনে না এসে গুলশান ৮৬ নম্বর সড়কের মাথায় সমাবেশ করেন।
শ্রমিক নেতা শাজাহান খান বলেন, খালেদা জিয়া হরতাল আর অবরোধের নামে মানুষ খুন করছেন। তালেবান, জঙ্গিদের নিয়ে তিনি পাকিস্তান তৈরির ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু আমরা তা প্রতিহত করবো।
খুনিদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী চলমান হরতাল ও অবরোধে প্রাণহানির জন্য খালেদা জিয়াকেই দায়ী করেন।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুলশান থেকে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় তুলে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরিন আক্তার এমপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোর্শেদ হেলাল, মহাসচিব আবদুল আহাদ মতিন, ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার এনামুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে এ কর্মসূচি চলাকালে দুই দফায় ককটেল হামলা চালিয়েছে র্দুবৃত্তরা। বেলা ১২টার দিকে ওয়ান্ডার ল্যান্ড পার্ক থেকে কার্যালযের অভিমুখে যাত্রা করলে গুলশান-২ চত্বরে শ্রমিকদের মিছিলকে উদ্দেশ্য করে ২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ৬ জন আহত হন। এর মধ্যে বাবুল নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাহাঙ্গীর, আল আমিন ও শরীফসহ শ্রমিকলীগের ৪ জন আহতকে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে গুলশান ৮৬ নম্বর সড়কের মাথায় সমাবেশ কর্মসূচিতে শাজাহান খানের বক্তব্য দেওয়ার সময় আরও দু’টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় কেউ আহত হননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫