ঢাকা: গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে হামলার এবং জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শাজাহান খান। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভ সমাবেশ, জাতীয় পতাকা ও ট্রাক মিছিল।
সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন নৌমন্ত্রী।
বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধের মধ্যে নাশকতার প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানে ওয়ান্ডারল্যান্ডের সামনে থেকে নৌমন্ত্রীর নেতৃত্বে পদযাত্রা শুরু হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শাজাহান খান বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে ড্রাইভার-হেলপার-যাত্রী, শিশু-নারীকে দগ্ধ ও হত্যা করছে। হাজার হাজার গাড়ি-ট্রেন পোড়ানো হচ্ছে। এর হোতা খালেদা জিয়া, বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোট।
শ্রমজীবী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের মাঝামাঝি স্থানে উপর থেকে বোমা মারা হয়েছে বলে দাবি করেন নৌমন্ত্রী। মিছিলে ককটেল হামলায় ২৩ জন আহত হয়েছেন বলেও দাবি নৌমন্ত্রীর।
আমরা গণতান্ত্রিক ভাষায় এর প্রতিবাদ করতে চাই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল, বুধবার বেলা ১১টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রাক মিছিল এবং বৃহস্পতিবার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জাতীয় পতাকা মিছিল করা হবে। এরপর দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
খালেদা জিয়া এবং গুলশানে যারা অবস্থান করছেন তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে দাবি করে নৌমন্ত্রী বলেন, আমরা তার বাড়িতে ঢিল-বোমা মারতে যাইনি। তাহলে কেন আমাদের উপর হামলা?
হামলার অংশে আশুলিয়ার কর্মীরা ছিলেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের ১৭ জনকে সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- সাগর, আরিফ, আনা সরদার, মোখলেসার, রুবেল, দেলোয়ার, ওবায়দুর, মোতালেব, শামীম, মোস্তফা, ইব্রাহীম, হেলাল, মিন্টু, বাবুল মিয়া, সীমা ও নাহার।
বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এদের মধ্যে ২/৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
নৌমন্ত্রী বলেন, হামলার ঘটনার মধ্য দিয়ে ২০ দলীয় জোট আবার প্রমাণ করলো তারা বোমাবাজ, গণতন্ত্র বোঝে না। এরা সন্ত্রাস বোঝে, চোরাগোপ্তা হামলা বোঝে, বোমাবাজি বোঝে।
এ ঘটনার পর অনেক ঘটনা ঘটতে পারতো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করেছি, উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে দেইনি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে এ হামলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা ছিল বলেই বড় ধরনের ঘটনা ঘটনি। তারা চোরাগোপ্তা হামলা করেছে।
হামলার প্রতিবাদে আমরা মামলা দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫/আপডেট: ১৭৫৭