সিলেট: ২০ দলের ডাকা ৭২ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন নগরীর বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ ও ককটেল হামলার একাধিক ঘটনা কিছুটা উত্তাপ ছড়ায় নগরীতে।
সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিনের শুরুতে ঢিলেঢালা ছিলো হরতাল।
কিন্তু দুপুর থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে একাধিক স্থানে ককটেল নিক্ষেপ ও পেট্রোলবোমা হামলার ঘটনা আতঙ্ক ছড়ায় সর্বত্র। এ কারণে ব্যবসায়ীদের অনেকে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। রাস্তায় কমে আসে যানবাহন চলাচল।
চলমান অবরোধ ও হরতালের দ্বিতীয় দিনে কড়া নিরাপত্তা স্বত্ত্বেও সহিংসতার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
হরতাল চলাকালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর নয়াসড়কে শপিংমল আড়ংয়ের নগরীতে পার্কিং করা একটি মাইক্রোবাসে পেট্রোলবোমা ছুড়ে আগুন দেয় হরতালকারীরা। এতে গাড়িতে অবস্থানকারী এক নারী আহত হন।
দুপুর ১টায় অবরোধ-হরতালের সমর্থনে মিরের ময়দানে শ্রীহট্ট সাংস্কৃতিক কলেজ, ব্লু-বার্ড স্কুল ও রেডিও অফিসের সামনে কটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে দুই শিশুসহ তিনজন আহত হন। এসময় পুলিশের রিকুইজিশন করা একটি লেগুনাসহ তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।
একই সময়ে সিলেট বিমানবন্দর সড়কের খাসদবীর মাদানী মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় অবরোধকারীরা।
বিকেল ৩টার দিকে নগরীর নবাব রোড এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। তবে সেখানে ভাঙচুর কিংবা সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সহিংসতাকারীদের দমনে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব ঘটনার পর পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে এমসি কলেজের ছাত্র ও সিলেট পশ্চিম শিবিরের সভাপতি দুলাল আহমদকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫