ময়মনসিংহ: হরতালের সময় ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চালু রাখার প্রশ্নে আইনজীবী সমিতির জরুরি সভায় আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
ফলে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সভায় দেশে যেকোনো দলের হরতাল চলাকালে আদালত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সেই থেকে সব সরকারের সময়ই এ সিদ্ধান্ত বহাল ছিল। কিন্তু গত এক মাসের বেশি সময় টানা অবরোধ-হরতালে ময়মনসিংহ আদালত বন্ধ থাকায় তা চালু রাখার জন্য ১৪ দলপন্থী আইনজীবীরা দাবি জানায়।
এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এক জরুরি সভা ডাকে আইনজীবী সমিতি। সেখানে আইনজীবীরা হরতালে আদালত বন্ধ রাখা ও চালু রাখার পক্ষে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সভায় তুমুল হট্টগোলের দেখা দেয়। পরে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা মূলতবি করা হয়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ তানভীর তান্না অভিযোগ করেন, ১৯৯৫ সালের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য নতুন কমিটিকে যেভাবে চাপ দেয়া হয়েছে তা উচিত না। তার মতে, হরতালে মক্কেল আসতে পারেন না। তাই আদালত বন্ধ রাখাই শ্রেয়।
তবে নবনির্বাচিত কমিটিকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি দাবি করে আ’লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল সমর্থিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট পীযুষ কান্তী বলেন, শুধুমাত্র চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ ছাড়া হরতালে বাংলাদেশের কোনো আদালত বন্ধ থাকে না। তাই ৯৫’ সালের সিদ্ধান্ত বাতিল করা উচিত।
এ সময় হরতালে আদালত চালু রাখা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য হরতাল-অবরোধ বিষয়ে হাইকোর্টর রায়ের জন্য আইনজীবীদের অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন সিনিয়র আইনজীবী জাহিদ হোসেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল হক বলেন, আপাতত সভা মূলতবি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘন্টা ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫