বাগেরহাট: বাগেরহাটের মংলায় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মংলা পোর্ট পৌরসভার কুমারখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মংলা পোর্ট পৌরসভা ছাত্রলীগের সদস্য সোহেল রানা (২৮), তার ভাগ্নে স্কুলছাত্র সৈকত আহমেদ (১৫) ও মংলা পোর্ট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি লিটন (৩২)।
আহতদের প্রথমে মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহত সোহেল ও লিটনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে আহত সোহেলের বড় ভাই পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মংলা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
নুর আলম বাংলানিউজকে অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সকালে মংলা পোর্ট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে মুরুগি হাবিব ও তার লোকজন তার ভাগ্নে সৈকতকে ধরে নিয়ে যায়। তারা সৈকতকে শহরতলীর ইসলামি আদর্শ একাডেমির সামনে থেকে ধরে নিয়ে কুমারখালী এলাকায় আটকে রাখে।
নুর আলম আরো জানান, তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে পুলিশসহ সৈকতকে উদ্ধার করতে যাই। তার ভাই রানা ও যুবলীগ নেতা লিটনও ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষ পুলিশের সামনেই হামলা করে রানার মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং সৈকত ও লিটনকে মারধর করে। এছাড়া একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
তবে পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এ ঘটনার সময় এলাকায় ছিলাম না। আমাকে ওসি সাহেব ফোন করে খবর নিতে বললে আমি ঘটনাস্থলে যাই।
এ বিষয়ে মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলায়েত হোসেন বলেন, একটা ছেলেকে মারা হয়েছে। আহতদের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্তদের আটকে তৎপর রয়েছে।
অপরদিকে, ঘটনার পর থেকে শহরে দুই গ্রুপের মধ্যেই উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫