ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

১৯ ফেব্রুয়ারি তিস্তা অভিমুখে বাসদের রোডমার্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫
১৯ ফেব্রুয়ারি তিস্তা অভিমুখে বাসদের রোডমার্চ

রংপুর: তিস্তাসহ সব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা সেচ প্রকল্পের অধীন জমিতে পানির দাবিতে ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চ করবে বাসদ (মার্কসবাদী)।

বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রংপুর থেকে শুরু হবে এ রোডমার্চ।



মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুরের ডিএল রায় সড়কের সাম্যবাদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাসদের (মার্কসবাদী) রংপুর বিভাগীয় সংগঠক মঞ্জুর আলম মিঠু বলেন, ভারত সরকার আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি লংঘন করে বাংলাদেশের প্রায় সব কয়টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করছে। ফলে সেচ মৌসুমে তীব্র পানি সংকট ও বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ বন্যা বাংলাদেশের জন্য প্রতি বছরের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিস্তার উজানে গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে ভারত শুকনো মৌসুমে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

তিস্তা সেচ প্রকল্পের অধীন এক লাখ ১১ হাজার চারশ’ ৬০ হেক্টর জমির অধিকাংশই গতবছর সেচ সুবিধা পায়নি। এবারও তিস্তা সেচ প্রকল্পের অধীনে কোনো জমিতে সেচ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা বাড়তি খরচ দিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন।

ভারত বর্ষা মৌসুমে বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষেত ডুবে যায়। নদীর ভাঙ্গনে চাষের জমি, বসতবাড়ি, হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ফলে তিস্তা উত্তরাঞ্চলের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিস্তাসহ সব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে সব সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রয়োজনে সরকার পক্ষ জনগণের সব মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে।

অপর দিকে বিরোধী পক্ষ যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সহিংসতা, গুপ্ত হামলা, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলছে। প্রতিদিন ক্রসফায়ারে অথবা আগুনে পুড়ে মানুষ মরছে। জোট-মহাজোটের ওপর নির্ভর করে জনজীবনের কোনো সংকটের সমাধান সম্ভব নয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমান সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের কর্মসূচি পালন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও উত্তরাঞ্চলের মরুকরণ রোধ, কৃষি-কৃষক ও প্রাণ-প্রকৃতিকে রক্ষার প্রয়োজনে রোডমার্চ কর্মসূচি নির্দিষ্ট দিনেই পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, রাজশাহী বিভাগীয় সংগঠক ওবায়দুল্লাহ মুসা, রংপুর জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, দিনাজপুর জেলা সমন্বয়ক রেজাউল ইসলাম সবুজ, রংপুর জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগসহ আরও অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রয়ারি ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।