ঢাকা: জাতিসংঘের চিঠি পাওয়ার পরও সংলাপ না করার সিদ্ধান্তে অটল ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট, জানিয়েছেন জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ১৪ দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী জোটের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
ওই চিঠির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ক্ষমতাসীনরা সংলাপে বসবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, অনেকে অনেকভাবে আশা প্রকাশ করতে পারে। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল। যারা দানবের মতো মানুষের উপর হামলা করে তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। সংলাপের প্রশ্নই আসে না।
সারাদেশের ‘কথিত বন্দুক যুদ্ধে’র নামে সাধারণ মানুষও হত্যা হচ্ছে- এ বিষয়ে ১৪ দলের অবস্থান জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবেই। তারা আগে থেকেই বলে আসছে আক্রান্ত হলে গুলি করবে।
এসময় জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুস সোবহানের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে এ রায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও ট্রাইব্যুনালকে অভিনন্দন জানানো হয়। তিনি বলেন, এই রায়ে জনমনে স্বস্তি এসেছে, একই সঙ্গে ১৪ দল স্বস্তি প্রকাশ করছে।
এছাড়াও ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে শান্তি মিছিল ও ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে সামাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ১৪ দল।
ওই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য সম্পাদক বদিউজ্জামান ভুইয়া, তথ্য সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, মহিলা সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম, সংসদ ফজলে নূর তাপস, ইলিয়াস মোল্লা ও ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ।
এছাড়া ১৪ দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া, জাকির হোসেন, ডা. শাহাদাত হোসেন, ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ইসমাঈল হোসেন, রেজাউর রশিদ, আবু সাঈদ, আবু সাঈদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫