ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির আসামি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহানকে কনডেম সেলে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে তাকে কয়েদির পোশাকও পরানো হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী জেল সুপার নেসার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দুপুরে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ সুবহানের উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগে তার বিচায় হয়।
এর আগে রায় ঘোষণা উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে সুবহানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর সকাল ১১টা থেকে বিচারপতিরা রায় পড়া শুরু করেন।
গত ৪ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচার কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর নয়টি অভিযোগে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে জামায়াতের এই নেতার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা থেকে আবদুস সুবহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় প্রসিকিউশনের তদন্ত দল। একই বছরের ১৯ অক্টোবর আদালত তা আমলে নেন এবং তার বিরুদ্ধে ৩১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন হয়।
অবশেষে বুধবার সুবহানের বিরুদ্ধে আনা ৯টি মানবতাবিরোধী অভিযোগের মধ্যে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রের ৬টিই প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ এ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫