সিলেট: টানা অবরোধের পাশাপাশি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ঘোষিত সপ্তাহের শেষদিনের হরতাল চলছে। তবে হরতালে কোনো উত্তাপ নেই।
বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হরতালে নগরীতে তেমন কোনো নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া হরতাল সমর্থকদের কোনো ধরনের তৎপরতা না থাকায় সিলেটের জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। সকালের দিকে যান চলাচল একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে দেখা গেছে। নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহনের চাপের কারণে নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটেরও।
নগরীর কদমতলী বাসটার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করলেও আন্ত:জেলা এবং দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। তবে সিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যেও স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন চলাচল।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের ভিড় লক্ষ্যণীয়। খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট ও মার্কেট।
এদিকে, আইন-শৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানের কারণে হরতাল কিংবা অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে দেখা যায়নি। ফলে নিরুত্তাপ কর্মসূচি চলছে বিভাগীয় এই নগরীতে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, নাশকতা এড়াতে সিলেট নগরজুড়ে পুলিশ ও ৠাবসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। ভোর থেকেই নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছেন তারা। এছাড়া মাঠে রয়েছে বিজিবিও।
অন্যদিকে, নগরী ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশের টইল রয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় পুলিশের টইল জোরদারের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পূর্বঘোষিত ৭২ ঘণ্টার হরতাল বুধবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নতুন ঘোষণায় তা শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫