জলঢাকা (নীলফামারী) থেকে: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশ সফরের জন্য অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বৃহত্তর রংপুরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এখানে এসে তিস্তা নদীর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন বাসদ নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার জিরো পয়েন্টে এক জনসভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
নীলফামারী জেলা বাসদের সংগঠক আব্বাস আলীর সভাপতিত্বে জলঢাকার সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন- বাসদ (মার্কসবাদী) দিনাজপুর জেলা সমন্বয়ক রেজাউল ইসলাম সবুজ, পঞ্চগড় জেলা সমন্বয়ক তরিকুল আলম, বগুড়া জেলা সমন্বয়ক শামসুল আলম দুলু, কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয়ক মহিরউদ্দিন, রংপুর জেলা কমিটির সদস্য আহসানুল আরেফিন তিতু প্রমুখ।
বাসদ নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ধু ধু বালুচরে পরিণত হওয়া তিস্তা নদীর অববাহিকার লাখো কৃষক এখন চাতক পাখির মতো পানির আশায় বুক বেঁধে আছেন। ভারত তাদের বিভিন্ন স্থানে জলবিদ্যুৎ স্থাপন করে পানিকে আটকে রেখেছে।
সে কারণে এ অঞ্চলের মানুষ পানি সমস্যায় হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, পানির অভাবে কৃষক জমি চাষ করতে পারছেন না। জেলেরা আজ বেকার হয়ে পড়েছেন। পানি শূন্যতার কারণে গতবার তিনশ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়েও পাইনি। তবে তিস্তায় যাতে সারাবছর পানি থাকে, এ নিশ্চয়তা আমরা চাই।
তিস্তায় সব সময় পানির দাবি জানিয়ে বাসদ নেতারা বলেন, এ মৌসুমে যাতে তিস্তা নদীতে ৪৬০ কিউসেক পানি থাকে, এর নিশ্চয়তা চাই আমরা।
তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই দাবি যদি একমাসের মধ্যে পূরণ করা না হয়, তবে আগামী মার্চের ২০-২১ তারিখে আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর দাবিনামা পেশ করবো। তিস্তার পানি চুক্তির বিষয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কোনো গড়িমসি করেন, তবে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক কমিশনে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫