ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

‘খালেদাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়ায় তল্লাশির নির্দেশ’

সাজেদা সুইটি, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৫
‘খালেদাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়ায় তল্লাশির নির্দেশ’ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশি চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আর এটিকে খালেদা ও তার সঙ্গে অবস্থানকারীদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া বলেই মনে করছে বিএনপি।


 
সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে এই নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে। দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান এ বিষয়ে তাকে অবহিত করেছেন।
 
খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, খালেদা জিয়া বিষয়টি জানবেন, তাতে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হবে না। কারণ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তো আগে থেকেই জারি রয়েছে।
 
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন নি সোহেল। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সেলিমা রহমান ও শিরীন সুলতানা (মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক) খালেদা জিয়ার কক্ষে গিয়েছেন। তারা এ বিষয়ে কথা বলবেন।  
 
তল্লাশির খবরে কার্যালয়ে অবস্থানকারীরা ভীত-সন্ত্রস্ত নয় বলেও দাবি তার।

তিনি বলেন, এটা নিয়ে এলে ভীতি বা আতঙ্কের কিছু নেই। এখন তল্লাশির নির্দেশ জারি হয়েছে। কিছুতো করার নেই। আতঙ্কিত হয়ে আর কী হবে? পরিস্থিতি যখন যা, সেটি মেনে নিতে হবে।
 
গুলশানের ভিন্ন সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বলতা নেমে এসেছে কার্যালয়ে। সাংবাদিকদের কাছ থেকেই তারা প্রথমে খবরটি জানতে পারেন। এরপরে কার কার নামে মামলা রয়েছে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে চাপা আলোচনা করেছিলেন স্টাফরা।
 
বিশেষ করে, গুলশানের মামলায় যাদের নাম উল্লেখ রয়েছে তাদের কাউকে কাউকে বেশ চিন্তিত দেখা গেছে- জানাচ্ছে একই সূত্র।
 
রোববার (১ মার্চ) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশির নির্দেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা রাজধানীর গুলশান থানার একটি মামলায় গুলশান থানা পুলিশকে এ নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাসুদ জামানের আদালত।

মামলাটির (নম্বর: ২৫ (২) ১৫) আসামি খালেদা জিয়াসহ ১৪ জন।   মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাচ্চু।
 
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার ওসি ফিরোজ কবির আদালতে তল্লাশির আবেদন জানান।

শুনানিতে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াসহ মামলাটির অন্য আসামিরা কার্যালয়টিতে পালিয়ে আছেন। নাশকতার কাজে ব্যবহার হতে পারে এ ধরনের বিস্ফোরক বা অন্যসব দ্রব্য সেখানে মজুদ থাকতে পারে। এজন্য কার্যালয়টিতে তল্লাশি করা প্রয়োজন।

এ মামলায় প্রধান ও হুকুমের আসামি হিসেবে খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অন্য ১৩ জন আসামি হচ্ছেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, শিরিন সুলতানা, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, হুমায়ুন কবির, এমএ কাইয়ুম, দেওয়ান সালাউদ্দিন, মোস্তফা, মামুন ও মানিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।