ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত জোটের আহবানে গত ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী লাগাতার হরতাল-অবরোধে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীতে ২০২টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে ১৩টি গাড়ি।
এছাড়া হামলা করা হয়েছে ৪৫ পুলিশ সদস্যের ওপর। হরতাল-অবরোধে আহত হয়েছেন ৩ আনসার সদস্যও।
একই সময়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের সময় হাতেনাতে আটক করা হয়েছে ২৩০ জন নেতাকর্মীকে। এ সকল ঘটনায় মোট ৩২৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করার উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নয়াপল্টন যেতে চাইলে গুলশান কার্যালয়েই বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় তিনি সেখানেই অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আর সেই সময় থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। অবরোধ চলাকালীন সময়েও বিএনপি জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোট নানা ইস্যুতে হরতাল কর্মসূচিও পালন করে আসছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই সারাদেশে বাসে আগুন, পেট্রোল বোমা হামলাসহ নাশকতা শুরু হয়। শুধুমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসারত অগ্নিদগ্ধ ১৩ জন মারা যান। এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন অর্ধশত।
ডিএমপি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল অবরোধে ২০২টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগকালে হাতে-নাতে আটক করা হয়েছে ২৩০ জনকে। এর মধ্যে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মী রয়েছে ৮৭ জন, বিএনপি নেতাকর্মী রয়েছে ১৪৩ জন। এছাড়াও নিবারনমূলক গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৩০০জন। এর মধ্যে জামায়াত শিবিরের ৩৮২, বিএনপির ৯০০ এবং হিযবুত তাহরীর রয়েছে ১৮ জন।
সূত্র জানায়, গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৩২৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৩২জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন জামায়াত-শিবির এবং ৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মী রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৫