জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার করিমপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ককটেল বিস্ফোরণের সময় শিবিরের ছয় কর্মীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ককটেল, তিনটি পটকা ও পাঁচ বোতল পেট্রোল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৮ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে ক্ষেতলাল-কালাই সড়কের করিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনির শিকার শিবির কর্মীরা ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন।
আহত শিবির কর্মীরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমী দক্ষিণপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আসাদুল্লাহ (২৫), একই উপজেলার সগুনা গ্রামের রমজান আলীল ছেলে হাসান (২৫), মাধবপাড়া গ্রামের আ. রহমানের ছেলে নূর আলম (২৬), আক্কেলপুর উপজেলার ভানুকান্দা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে সাকোয়াত হোসেন সোহেল (২৬), নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের ছেলে আ. খালিদ ও পত্নীতলা উপজেলার চক সহবদ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ছানাউর রহমান (২৬)।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, রোববার বিকেলে ক্ষেতলালের ইটাখোলা বাজার থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস মোলামগাড়ীর উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে করিমপুর এলাকায় বাসটি পৌঁছুলে দু’টি মোটরসাইকেলে করে ছয় যুবক এসে বাসকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর তারা বাসে পেট্রোল ঢালার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করে। এ সময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা একটি মোটরসাইকেলসহ তিনজনকে আটক করে। পরে মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয় এবং তাদের গণপিটুনি দেয়।
অপরদিকে, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে নিশ্চিন্তা বাজারে অপর মোটরসাইকেলটিও আটক করে জনতা। পরে ওই মোটরসাইকেলে থাকা যুবকদেরও গণপিটুনি দেয়।
পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মামুন জানান, গণপিটুনির শিকার যুবকরা আশঙ্কামুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫