ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

‘পেটে ভাত না থাকলে হরতাল মাননের টাইম আছে?’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৫
‘পেটে ভাত না থাকলে হরতাল মাননের টাইম আছে?’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘হরতাল কে মানে? আমরা কাম কইরা খাই। আমগো গাড়ি চললে সংসার চলবো, নইলে চলবো না।

পেটে ভাত না থাকলে হরতাল মাননের টাইম আছে?-এসব কথা বললেন বাসচালক রুবেল।

সোমবার (০৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা রুবেল বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।

বিষন্ন মুখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন কি আর হরতাল ভালো লাগে? একদিন গাড়ি না চালাইলে কি হেরা (হরতালকারীরা) আমগো খাওয়াইবো? তারা খালি হরতাল দিয়া গাড়ি ভাঙতে পারে, আর আগুন লাগাইতে পারে’।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা হরতাল-অবরোধের কোনো প্রভাবই নেই রাজধানীতে। তবে জনমনে রয়েছে আতঙ্ক।

সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিদিনের মতো খুলছে দোকান-পাট। সাধারণ মানুষও ছুটছেন যে যার কাজে। শাহবাগ, মহাখালী, বনানী, মগবাজার, সাতরাস্তাসহ অন্য এলাকাগুলোতে যানজটও চোখে পড়ে।

হরতাল-অবরোধের মধ্যে দৈনন্দিন কাজ-কর্ম কেমন চলছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ফারহান সাদিক বাংলানিউজকে জানান, ‘হরতাল নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো দেশে তামাশা করছে। মুখ দিয়ে বললো, আর হরতাল হয়ে গেলো! আমরা সাধারণ মানুষ কাজ করে খাই। আমাদের রোজগারে কোনো রাজনৈতিক দলের বাধা দেওয়ার অধিকার নেই’।

বাংলামোটরের বাসিন্দা মানিক মিয়া। পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডে তার ইলেকট্রিক হার্ডওয়্যারের দোকান আছে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাসা থেকে বের হয়ে প্রতিদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। হরতালের কারণে মনে একটা আতঙ্ক কাজ করে। কিন্তু কি করার আছে? আমাদের তো ব্যবসা করতে হবে। আর কতো দিন এভাবে দেশ চলবে?’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওরিন জাহান বলেন, ‘হরতালের কারণে এর আগে ঠিকমতো ক্লাস হয়নি। আমরা শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছি। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ক্লাস শুরু হয়েছে। নামের হরতাল দিয়ে লাভ কি?’

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।