বান্দরবান: পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমার বান্দরবান সফরকে কেন্দ্র করে বান্দরবান শহরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যকার এ সংঘর্ষে উভয় সম্প্রদায়ের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাহাড়ে চাঁদাবাজি, খুন ও গুম বন্ধের দাবিসহ সন্তু লারমার বান্দরবান সফর প্রতিহত করতে বাঙালিদের সংগঠন জাগো পার্বত্যবাসী বুধবার সকাল থেকে ৭২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয়।
হরতালের প্রথম দিনেই দুপুর ১টার দিকে বিপুলসংখ্যক পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মোটর বহরযোগে শহরে প্রবেশ করে সার্কিট হাউজে অবস্থান নেন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন সন্তু লারমা।
এর কিছুক্ষণের পর গাড়ি বহরে থাকা জেএসএস সমর্থিত নেতাকর্মীদের একটি অংশ শহরের বালাঘাটা বাজারে বাঙালিদের ওপর হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয় সম্প্রদায়ের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়।
এ সময় সন্তু লারমার সমর্থকদের বহনকারী একটি জিপ ভাঙচুর করে হরতাল সমর্থকরা।
এ ঘটনার পর থেকে শহরের কয়েকটি স্থানে সেনা ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া শহরের পাহাড়ি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বাংলানিউজকে সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বালাঘাটা এলাকায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে, হরতালকে কেন্দ্র করে বান্দরবান শহরে সব ধরনের যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
সন্তু লারমা শুক্রবার সকালে বান্দরবান শহরের অদূরে ফারুক পাড়ায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) আয়োজিত একটি ছাত্র সম্মেলনে যোগ দিতে ১১, ১২ ও ১৩ মার্চ তিন দিনের সফরে বান্দরবান অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৫