ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

মান্নার রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৫
মান্নার রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন

ঢাকা: রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার জামিনের আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (১১ মার্চ) মান্নার আইনজীবী আব্দুল মান্নান খান ঢাকার সিএমএম আদালতে মান্নার রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন জানান।

সিএমএম বিকাশ কুমার সাহা জামিন আবেদনের শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দিন ধার্য করেন।

জামিনের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মান্না রিমান্ডে থাকাকালে হৃদরোগে গুরুতর আক্রান্ত হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার।

এর আগে বুধবার দুপুরে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার ওসি (তদন্ত) ফিরোজ কবির আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করেন যে, রিমান্ডে থাকাকালে মান্নার বুকে ব্যথা অনুভূত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সুস্থ হলে পুনরায় আদালতকে জানানো হবে।

এর আগে গত ৭ মার্চ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় মান্নার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল হক।

এছাড়া সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা অপর একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে মান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

৭ মার্চ রিমান্ড শুনানিতে মান্না আদালতকে বলেন, আমি হাই ব্লাডপ্রেসারের রোগী। চিকিৎসকরাই বলেছেন, আমি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মানসিক চাপ সহ্য করতে সক্ষম। এর বেশি মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই। আমি হার্টেরও রোগী। রিমান্ডে নিয়ে প্রচুর মানসিক চাপ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আমি চার ঘণ্টা অসুস্থ ছিলাম। ডাক্তারের ব্যবস্থা ছিল না।   আমি অতিরিক্ত মানসিক চাপ সহ্য করতে পারি না। এবার রিমান্ডে দেওয়া হলে জীবন নিয়ে আমি সন্দিহান।

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ওই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়।

গত ৫ মার্চ সন্ধ্যায় গুলশান থানার অপারেশন অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এসআই শেখ সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে মান্না-খোকার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চায় পুলিশ। ৪ মার্চ অনুমোদনের পরদিন মামলাটি দায়ের করা হয়।

মান্না-খোকা ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটক করা হয় বলে দাবি করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ওই সময় পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মান্নাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, সেনা বিদ্রোহে উস্কানি দিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমণ্ডি থেকে মান্নাকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।