বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বুড়িতলা এলাকায় যুবলীগ নেতা সাজেদুর রহমান সাজুকে গুরুতর জখমকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জনিয়েছেন তার স্ত্রী শিমু। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, প্রশাসন থাকতে বিনা অপরাধে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তার স্বামীকে হত্যা করবে, পঙ্গু করে দেবে- এটা হতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাজুর বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন শিমু।
তিনি অভিযোগ করেন, বুধবার (১১ মার্চ) রাতে বেলাল নামে এক সন্ত্রাসী এসে ডেকে নিয়ে যায় তার স্বামীকে। এরপর নির্দয়ভাবে তাকে রাম দা ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপাতে থাকে। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে গেলেও সম্পূর্ণ পঙ্গু হওয়ার দ্বারপ্রান্তে তার সাজু।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শিমু বলেন, বেলালসহ ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী পায়ের নিচে ইট দিয়ে ইচ্ছমতো রামদা দিয়ে কুপিয়ে আমার স্বামী সাজুর শরীরের এমন হাল করেছে যে, নিশ্চিত পঙ্গু হওয়ার পথে এখন। বাম পায়ের চার জায়গায় এবং ডান পায়ের দুই জায়গায় কোপানোর কারণে শরীর থেকে পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। এছাড়া, দু’টি পায়ের নিচের অংশে এমনভাবে আঘাত করেছে যে, পায়ের প্রায় সবগুলো হাড় ভেঙে গেছে। শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
সাজুর স্ত্রী বলেন, সংবাদটি প্রকাশ হলে সাংবাদিকদেরও হয়তো হুমকির মুখে পড়তে হবে।
তবু সত্য ঘটনা তুলে ধরে তার স্বামী ও পরিবারকে হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচানো জন্য সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেন তিনি। একই সঙ্গে এ ধরনের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের প্রতিও অনুরোধ জানান তিনি।
বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বি-ব্লক- বৃ-কুষ্টিয়া সড়কের বুড়িতলা সংলগ্ন এলাকায় উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের পদ্মপুকুর দর্জিপাড়ার আব্দুল জব্বারের ছেলে সাজুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলেই দ্রুত জড়িতদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৫