ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

সিলেটে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে গোলাগুলি, ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৫
সিলেটে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে গোলাগুলি, ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরীর তালতলায় ছাত্রলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) রাত ১০ টায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সামাদ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক পিযুষ গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।



প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে ইসলামী ব্যাংকের তালতলা শাখা, নবান্ন রেস্টুরেন্টসহ ৪টি মোটরসাইকেল ও বেশকয়েকটি রিকশায় আগুন ধরিয়ে দেয় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। নগরীর রেজিস্টারি মাঠের ভাসমান কাপড়ের দোকানগুলোও জ্বালিয়ে দেয় তারা।

সংঘর্ঘ চলাকালে অন্তত তিন রাউন্ড গুলি ও ৮/১০ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুই গ্রুপ।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও নিরব ভূমিকা পালন করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছে। পরে একপর্যায়ে পিযুষ গ্রুপ রেজিস্টারি মাঠের পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর সামাদ গ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রেজাস্টারি মাঠ এলাকায় অবস্থান নেয়।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এর আগে বুধবার রাতে সিলেট ছাত্রলীগের পিযুষ গ্রুপ ও সামাদ গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সামাদ গ্রুপের ধাওয়া খেয়ে পিযুষ গ্রুপ তালতলা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বুধবারের ঘটনার বদলা নিতেই বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে অস্ত্রশস্ত্রসহ ৫০/৬০ জনের দল নিয়ে পিযুষ গ্রুপ তালতলায় হামলা চালায়। এসময় তারা দোকানপাট ও যানবাহন ভাংচুর করতে থাকে। হামলার খবর পেয়ে সামাদ গ্রুপ এগিয়ে আসলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত বেঁধে যায়। সংঘাতকালে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবিনিময় করে দু’পক্ষ। একপর্যায়ে সামাদ গ্রুপের সাথে  টিকতে না পেরে পিছু উঠে পিযুষ গ্রুপ। এ সামাদ গ্রুপের পিযুষের নিয়ন্ত্রনে থাকা রেজিস্টারি মাঠের ভাসমান দোকানগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। দমকল বাহিনীর একটি দল আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। সংঘর্ষে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায় নি। তালতলা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের কতোয়ালি মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১১মার্চ) ছাত্রলীগের সামাদ গ্রুপের নেতা রমিজকে তালতলা এলাকায় লাঞ্ছিত করে পিযুষ গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর সামাদ গ্রুপ পিযুষ গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। ওই ঘটনার জের ধরেই বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘন্টা, মার্চ ১২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।