গুলশান কার্যালয় থেকে: যৌক্তিক পরিণতিতে পৌঁছার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে আবারও ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সংকট নিরসনে সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি শর্ত দিয়ে বলেন, গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, সমঝোতার কথা যারা বলে এই সরকার তাদের অসম্মান করে।
গাজীপুরের জনসভা বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি ও খালেদার আদালতে হাজিরার বিষয়ে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে বলেও সরকারের প্রতি অভিযোগ খালেদা জিয়ার।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। তাই যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
দেশে গভীর সংকট চলছে মন্তব্য করে এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে ২০ দলীয় জোটনেতা বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে। এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ, আরও স্পষ্ট করে বললে শেখ হাসিনা।
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ একতরফা সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাদ করে দেয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন সুযোগই তারা রাখেনি।
তিনি বলেন, মহাবিতর্কিত জাতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্রের নাম-নিশানা মুছে দিতে চেয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অবৈধ সরকার গঠন করেছে।
প্রহসনের নির্বাচনের আগে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচন দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি যথারীতি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছিলেন। আসলে প্রতিশ্রুতি রক্ষার ইতিহাস তাদের নেই।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও কার্যালয়ে তল্লাশির নির্দেশ জারির পর এই প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেলের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সংবাদ সম্মেলনের কথা জানানো হয়।
গত ৩ জানুয়ারি রাতে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়ার পর শুক্রবার ৬৯তম দিনে তৃতীয়বারের মতো সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন খালেদা।
এর আগে ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসে’র কর্মসূচিতে অংশ নিতে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় মূলফটকে বাধা পান ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেন।
এরপর ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো খালেদার বক্তব্য পাওয়া যায় সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। সম্মেলনটিতে ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে’ বলে ঘোষণা দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৫
** এ আন্দোলন অধিকার প্রতিষ্ঠার
** `সংকটের জন্য দায়ী শেখ হাসিনা'
** ‘প্রতিশ্রুতি রাখেননি হাসিনা’
** যারা আন্দোলনে থেকেছেন তাদের সাধুবাদ
** যৌক্তিক পরিণতিতে পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
** ‘আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ খুলে রাখা হয়নি’
** জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে সরকার
** অভিযানের নামে নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে সরকার