ঢাকা: খালেদা জিয়া সহিংস কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকিয়ে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিতেই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে দেশ জুড়ে নাশকতা সৃষ্টি করেন খালেদা। তার নির্দেশেই বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলের ক্যাডাররা মানুষ হত্যা শুরু করে। এ সময় হামলা চালিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানও ধ্বংস করা হয়।
‘কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ায় ওই সময় ১৪২জন সাধারণ মানুষকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছে তারা। সহিংস কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল বিএনপি। এ অভিযোগে খালেদা জিয়াকে বিচারের মুখোমুখি করা যেতে পারে,’—যোগ করেন তিনি।
হানিফ অভিযোগ করেন, জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলেই খালেদাও ভোটে আসেননি। কারণ বিএনপি জামায়াত একে অপরের বন্ধু। বন্ধুকে ছাড়া খালেদা কীভাবে নির্বাচনে যাবেন?
‘বন্ধুর মন রক্ষা করতে নির্বাচনে না গিয়ে এখন সহিংসতা চালিয়ে দেশের মানুষকে হত্যা করছেন,’—বলেন তিনি।
বিএনপির শাসনামলে দেশে বোমা-হামলা, জঙ্গি উত্থান ও ২১শে আগস্ট বোমা হামলার ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন হানিফ।
এমনকি কুখ্যাত রাজাকার আবদুল আলিমকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে খালেদা কলঙ্কিত করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ডা. দীপু মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৫