ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

‘দুই মাসের আন্দোলনের প্রাপ্তি জনসমর্থন’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৫
‘দুই মাসের আন্দোলনের প্রাপ্তি জনসমর্থন’ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খালেদার কার্যালয় থেকে: দুই মাসের আন্দোলনে ‘জনসমর্থন’ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটনেতা খালেদা জিয়া।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।



খালেদার বক্তব্য শুরুর আগেই সংবাদ সম্মেলনে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু তার বক্তব্য শেষ হতেই এক নারী সাংবাদিক প্রশ্ন করে ফেলেন।

‘দুই মাসের হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে এতোগুলো মানুষ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে কী পেলেন? আন্দোলনের অর্জন কী?’- মর্মে প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, আন্দোলনে জনগণের সমর্থন পেয়েছি।

এরপর আর কোনো কথা না বলেই সংবাদ সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া ঘোষণা দেন যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

তিনি বলেন, আলোচনার কথা বললে তার ব্যবস্থা করা সরকারের ওপর বর্তায়। এক তরফাভাবে তারা যে পঞ্চদশ সংশোধনী করেছে, তা এক তরফাভাবে বাতিলও করে দিতে হবে।

খালেদা জিয়া বলেন, দেশে একাত্তরের প্রেতাত্মারা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। হিটলারের যেমন শেষ রক্ষা হয়নি, এখানেও হবে না। ক্ষমতাসীনেরা প্রতিনিয়ত আমাকে জেল-জরিমানাসহ নানা হুমকি দিয়ে চলছে। কোনো লাভ হবে না।

বিএনপি প্রধান বলেন, শেখ হাসিনা যদি এবার তার প্রতিশ্রুতি রাখেন, তাহলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে। ক্ষমতাসীন দল পদত্যাগ করে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন দিলে আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারবো।

তিনি বলেন, এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়। এই আন্দোলন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার। এই আন্দোলন ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ দেশ গড়ার।

খালেদা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রক্রিয়ায় চললে খুব তাড়াতাড়ি আমরা সফলতায় পৌঁছাতে পারবো।

তিনি বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কারা তাদের পক্ষে দেশ পরিচালনা করবে।

আন্দোলনে এখনও যারা নিষ্ক্রিয় রয়েছে- তাদের যার যার জায়গা থেকে আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে আমরা সফল হবো।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সরকার ব্যবহার করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, যখন আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি, তখন জনবিচ্ছিন্ন সরকার পুলিশ, ৠাব, বিজিবি সদস্যদের বিরোধী দল নিপীড়নের কাজে ব্যবহার করছে এবং বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে। এই সংকট ‍আওয়ামী লীগের তৈরি, আরও নির্দিষ্ট করে বললে শেখ হাসিনার তৈরি।

খালেদা জিয়া বলেন, তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পর গণতন্ত্রের কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার তাদের নেই।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রহসন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা তখন বলেছিল, সেটা নিয়মরক্ষার নির্বাচন। সমঝোতার মাধ্যমে মধ্যবর্তী নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সে কথা রাখেনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচারের অধীন নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা জাতীয় বেইমানে পরিণত হয়েছে। এমন অনেক কারণের পরও তাদের প্রতিশ্রুতির কারণে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মধ্যবর্তী নির্বাচনের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। কিন্তু কোনো কথাই তারা রাখেনি। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের কোনো সুযোগই তারা রাখেনি। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে গণতন্ত্রের নাম নিশানা ধ্বংস করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।