মেহেরপুর: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মেহেরপুর শহরে ছাত্রলীগ ও তরুণলীগের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।
এতে ছাত্রলীগের শহর শাখার সভাপতিসহ মাহফিজুর রহমান পোলেন (২৮) গুরুতর আহত এবং এক অটোরিকশা চালক ও ছাত্রলীগের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রোববার (১৫ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফিজুর রহমান পোলেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তরুণলীগের কলেজ মোড়ের অফিসে হামলা করে। তারা ওই অফিস ভাঙচুর করে চলে যায়।
খবর পেয়ে তরুণলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে সরকারি কলেজে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রায় ১০/১২ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।
তরুণলীগ কর্মীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছাত্রলীগ নেতা মাহফিজুর রহমান পোলেন গুরুতর আহত হন। এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ রানা (২৪), ফারুক আহমেদ (২২) ও অটোরিকশা চালক জুয়েল হোসেন (১৬) গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা পোলেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অলক কুমার দাস।
তরুণলীগের শহর শাখার সভাপতি নুর হোসেন জানান, ছাত্রলীগের সঙ্গে রাজনীতি না করায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের অফিস ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগকে প্রতিরোধ চেষ্টা করেন তারা।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন জানান, তরুণলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের ওপর আকস্মিক হামলা চালিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, ফের সংঘর্ষের ঘটনায় মেহেরপুর শহরজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫/আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা