ঢাকা: দলগতভাবে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ না থাকলেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের(চসিক)নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। দলের উচ্চ পর্যায়ে এরইমধ্যে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্র জানাচ্ছে।
বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ দিতে চাচ্ছে না। তাই দলীয় নেতাদের নির্বাচনে দাঁড় করানোর ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে দলীয় ফোরামে আলোচিত হচ্ছে। তবে দলের নেতা হিসেবে পরিচিত মুখ এমন কাউকে দিয়ে নির্বাচন না করানোও হতে পারে।
সেক্ষেত্রে অনেকটা পরিচ্ছন্ন, ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন ব্যক্তিদেরই নিজেদের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেবে দলটি। শেষ পর্যন্ত দলনিরপেক্ষ অথবা 'আওয়ামী লীগের সমর্থক নয় এমন প্রার্থীকেও গোপন সমর্থনও দিতে পারে বিএনপি।
একইভাবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দলীয় নেতারা প্রার্থী হলে তাদের জনমত বিচারে বাধা দেওয়া হবে না বলে জানা গেছে।
বিএনপির নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন, হরতাল-অবরোধের প্রভাব ঢাকায় না থাকলেও প্রবল সরকার বিরোধী জনমত আছে। আর সে কারণেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হবেন। ক্ষমতাসীনরা যাকে সমর্থন দেবে তার বিপরীত প্রার্থীকেই ভোট দেবেন ঢাকাবাসী।
এর আগে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম দিকে অংশ নেবে না বলেও শেষ পর্যন্ত তাদের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেয়। এবং তারা জয়ী হয়।
এদিকে বুধবারই(১৮ মার্চ’২০১৫) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং (চসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত তফসিল মোতাবেক আগামী ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ করা হবে। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ মার্চ। ১ ও ২ এপ্রিল বাছাই এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ এপ্রিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৫