ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

‘৭২ দিনের হরতাল-অবরোধে শতাধিক মানুষ হত্যা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৫
‘৭২ দিনের হরতাল-অবরোধে শতাধিক মানুষ হত্যা’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: অবরোধ-হরতালের নামে গত ৭২ দিনে বিএনপি-জামায়াত ৩৩ জনকে পুড়িয়ে মারাসহ ১০৩ জনকে হত্যা করেছে বলে উল্লেখ করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বেলা ১২টায় খুলনা সার্কিট হাউজে প্রশাসন, পুলিশ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী।



শাজাহান খান বলেন, নির্বাচন প্রতিহতের নামে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস-নাশকতা করে ৫৫ জন চালক, ১৭ জন পুলিশ, দু’জন বিজিবি সদস্যকে হত্যা করেছে। ৫২৩টি স্কুল পুড়িয়েছে, ৬০ হাজার গাছ নিধন করেছে, জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে, শহীদ মিনার ভেঙ্গে দেশ, জাতি এবং স্বাধীনতার সঙ্গে বেঈমানি করেছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। যারা আহত হচ্ছেন তারা বার্ন ইউনিটে আর্তনাদ করছেন।

তিনি আরো বলেন, জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া আন্দোলন সফল হয় না। আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী সন্ত্রাস-নাশকতা চালিয়ে মানুষ মারছে। পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যার দায়ে খালেদা জিয়ার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শাজাহান খান বলেন, খালেদার হরতাল-অবরোধ ২০ দলের নেতা, মন্ত্রীরা মানেন না। তাদের কলকারখানা, যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলছে। তা হলে কিসের হরতাল-অবরোধ?

এটা গরিব মারার আন্দোলন বলে আখ্যায়িত করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, নাশকতা বন্ধে শুধু পুলিশ, ৠাব-বিজিবি দিয়ে হবে না। মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তিতে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।

সড়ক-মহাসড়কে নাশকতা রোধ ও সুষ্ঠুভাবে নিরাপদে যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক-কর্মচারী-মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. শাহ আলম, বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাসসহ খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের পুলিশ সুপার, বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ১০টায় খুলনা জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়:  ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।