ঢাকা: গার্মেন্ট শ্রমিকদের মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। তাই বিশাল এ শ্রমজীবী গোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে নারী শ্রমিকদের আরও সচেতন করে তুলতে হবে।
শুক্রবার (২০ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শ্রমিক ফেডারেশনের ৫ম কাউন্সিল সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরীন আখতার বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এছাড়া যেহেতু নারী শ্রমিকরা গার্মেন্টে বেশি কাজ করেন, তাই তাদের আরও সচেতন করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের বিকল্প নেই। তবে ট্রেড ইউনিয়ন করা মানেই অধিকার আদায়ের নামে কারখানায় অগ্নিসংযোগ নয়। মালিকরা দাবি না মানলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। কোনোভাবেই নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অধিকার আদায় করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে ও শ্রমিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন এক সঙ্গেই করতে হবে। এজন্য মালিক-শ্রমিক- সরকার সবাইকে এক হতে হবে।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য হাজেরা সুলতানা বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন না করলে শ্রমিকের অধিকার আদায় হবে না। তাই সবাইকে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসেনসহ অন্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলন শেষে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির ঘোষণা করেন আবুল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৫