বগুড়া: বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক বেনজীরকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের শিগগিরই গ্রেফতার দাবিতে মিছিল-সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।
শনিবার (২১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে শহরের সাতমাথা টেম্পল রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল শেষে দলীয় কার্যায়ের সামনে ছাত্রলীগ নেতা আসীম কুমারের সভাপতিত্ব ও শহর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগ নেতা আলহাজ শেখ আমিনুল ইসলাম ডাবলু, যুবলীগ নেতা জগলুল পাশা, কামরুল হুদা উজ্জ্বল, ফজলে রাব্বি মিথুন, শিপলু, রুবেল প্রমুখ।
এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভপতি আব্দুস সাত্তার, ছাত্রলীগ নেতা সিহাবুল ইসলাম আদনান, তানভির হাবিব শাওন, তাজনুর রহমান তাপস, জিসান আহম্মেদ রনি, মীর ওসামা, জাকারিয়া, আব্দুল হান্নান, রাজু, শুভ, রিপন, শামীম, রঞ্জুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কিছুদিন আগে রাজপথের লড়াকু সৈনিক বেনজীরের উপর জামায়াত-শিবির হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এখন আবার তাদের মদদেই ছাত্রলীগ নামধারীরা হত্যার উদ্দ্যেশ্যে বেনজীরের উপর হামলা করেছে।
সমাবেশ চলাকালে নেতারা বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা ছাত্রলীগের যেসব কমিটি উপহার দিয়েছেন, সেখানে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে অনেকে ছাত্রলীগ সেজেছে। তাই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে দ্রুত পদত্যাগ করুন।
এর আগে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আওয়ামী সমর্থিত সাবেক চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা বেনজীরের পূর্ব বিরোধ ছিলো। সেই জের ধরে ১৪ মার্চ বিকেলে নন্দীগ্রাম উপজেলায় রাস্তা সংস্কারের বালু সরবরাহ নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বেনজীর ও তার ছোট ভাই রিপনকে ছুরিকাঘাত করে একই দলের লোকজন।
পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৫