ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বাধীনতা দিবসের শপথে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

বাংলানিউজ পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫
স্বাধীনতা দিবসের শপথে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

ঢাকা: মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে দেশবাসীকে বজ্র কঠিন শপথ নিয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

বুধবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বর্তমান সরকারকে স্বৈরতন্ত্রের সরকার হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, মহান স্বাধীনতা দিবসে তাদের (সরকারের) বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত জাতিকে রক্ষা করতে হবে।



বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে ৫ জানুয়ারি তামাশার নির্বাচন করা হয়েছে। মানুষের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে এ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। ফলে তারা কখনোই জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে না এটাই স্বাভাবিক।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০ দলীয় জোট যখন আন্দোলন সংগ্রামে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার আন্দোলন-সংগ্রামের গতিকে ভিন্নখাতে নিতে ঢাকার দুই ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। সরকারের এ চক্রান্ত বুঝতে মহাজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই। ইতোমধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপিসহ অন্য দলকে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হলেও নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিময় পরিবেশ নিশ্চিতের কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান নয়।

নির্বাচন কমিশনকে ‘ঠুটো জগন্নাথ’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন ঠুটো জগন্নাথ বলেই কোনো প্রার্থীই নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে কোনো নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবি বা সুশীল সমাজের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি। সরকারের নীল নকশা অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করে ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় আরেকটি প্রতারণামূলক নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন তথা সরকার। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে যে তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে তা গোটা দেশবাসীর ইচ্ছার সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।

বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, সারাদেশে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সিনিয়র নেতা, নাগরিক ও সাংবাদিক সমাজের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ অগণিত বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীকে কারাগারের অন্ধকারে বন্দি রাখা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অথচ আইনি বিধি-বিধান মোতাবেক তাদের জামিনও দেওয়া হচ্ছে না। জামিন পাওয়া একজন অভিযুক্ত ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার। তবে সেই অধিকারটুকুও আজ ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।

এ সময় ২০ দলীয় জোটের চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার শান্তিপূর্ণভাবে সারাদেশে বিক্ষোভ-মিছিল সফল হয়েছে জানিয়ে, সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫/আপডেট ১৯৫৭

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।