ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে খালেদার শুভেচ্ছা

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫
স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে খালেদার শুভেচ্ছা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

ঢাকা: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২০১৫ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বুধবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাটানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।

  

খালেদা জিয়া বলেন, যাদের সুমহান আত্মত্যাগে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা, সেই লাখো বীর শহীদদের কথা সকৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।
 
আমি অভিবাদন জানাচ্ছি বিজয়ী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যারা জীবনবাজি রেখে রণাঙ্গনে লড়াই করে দেশকে মুক্ত করেছিলেন। আমি স্বাধীনতার সংগঠক রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের প্রতি জানাচ্ছি সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধা।
 
স্বাধীনতার ঘোষক ও রণাঙ্গনের বীর অধিনায়ক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করছি। যারা যুদ্ধাহত হয়েছেন, দেশে থেকে কিংবা উদ্বাস্ত হয়ে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের কথাও স্মরণ করছি।

প্রতিবেশী ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ভূক্ত যেসব রাষ্ট্র ও বিদেশি বন্ধু সরাসরি যুদ্ধ করে কিংবা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য-সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে সম্ভব ও ত্বরান্বিত করেছেন, আমি তাদেরকেও আজকের দিনে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ জানান খালেদা জিয়া।  

তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল এমন একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ যেখানে গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক মুক্তি, সাম্য ও সামাজিক সুবিচার সুনিশ্চিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা বর্বরতা, হত্যাযজ্ঞ, জুলুম-পীড়ন ও অস্ত্রের শাসনের বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন একটি উজ্জ্বল, শান্তিময় ও সমৃদ্ধ স্বদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। দুর্ভাগ্যের বিষয় প্রায় আড়াই দশকেও সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। আর তাই সার্বিক জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম আজও অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, এবছর এমন এক অস্বাভাবিক পটভূমিতে আমাদের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এসেছে যখন দেশ থেকে গণতন্ত্র নির্বাসিত। ভোটাধিকারসহ প্রায় সকল সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার হারিয়েছেন দেশবাসী। গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, পাইকারী গ্রেফতার অবাধে চলছে। সারাদেশ যেন এক উপদ্রুত জনপদ। স্বজনহারা মানুষের করুণ কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে আছে। মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই, অধিকার নেই, স্বাধীনতা নেই। সীমাহীন দুর্নীতি, লুণ্ঠন, অপশাসন, উৎপীড়নে আজ সকল সুবচন নির্বাসিত।

তিনি আরও বলেন, যুক্তির বদলে অবাধ মিথ্যাচার এবং সমঝোতার বদলে জবরদস্তির মাধ্যমে দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বর্বরতা ও উৎপীড়ন মুক্ত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে এনে মানুষের লুণ্ঠিত অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একটি গণতান্ত্রিক ও সৌহার্দ্যময় বাংলাদেশ গড়ে তোলাই হবে এবারের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অঙ্গীকার।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।