ঢাকা: মনোনয়নপত্র দাখিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের দাবি নাকচ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ।
অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের দাবি ছিলো, পরপর তিন দিন (২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ) সরকারি ছুটির কারণে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় পর্যাপ্ত নয়।
বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেলে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। বৈঠকে এমাজউদ্দীন আহমদ সরকারি ছুটির কারণে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য দুই থেকে তিন দিন সময় বাড়ানোর দাবি জানান।
কমিশন সময় বাড়াবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ বলেন, আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রচুর সাড়া পড়েছে। সাধারণত মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য ৭ থেকে ৮ দিন সময় দেওয়া হয়। আমরা তফসিলের পর ১০ দিন সময় দিয়েছি। কাজেই যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী শুক্রবার (২৭ মার্চ) এবং শনিবারও (২৮ মার্চ) নির্বাচন কমিশন খোলা থাকবে। ব্যাংকও খোলা রাখতে বলেছি।
তিনি বলেন, হঠাৎ করেই নির্বাচন দেওয়া হয়নি। ১০ মার্চেই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ হয়েছে। তখন থেকেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। তখনই তফসিল ঘোষণা করতে পারতাম। কিন্তু এরপরও সময় নিয়ে তফসিল দিয়েছি। রোজা, খেলা এসব বিবেচনায় এপ্রিলের শেষে (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন দেওয়া হয়েছে।
অনেকেই জেলে আছেন, তারা নির্বাচনে ইচ্ছুক হলে জামিনের ব্যবস্থা নেবেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, যারা আত্মগোপনে রয়েছে, আমরা কীভাবে তাদের খুঁজে বের করবো?
অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের বলেছি, অতীতে যেভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি এবারও সেভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন করবো।
এ সময় সিইসির সঙ্গে ইসি সিরাজুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, ২৬ মার্চ, ২০১৫