ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

চোরাগোপ্তা হামলা করে সরকারের পতন ঘটানো যায় না

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৫
চোরাগোপ্তা হামলা করে সরকারের পতন ঘটানো যায় না ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গোপালগঞ্জ: সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চোরাগোপ্তা হামলা করে সরকারের পতন ঘটানো যায় না। সরকারের পতন ঘটাতে হলে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নয় গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।

কিন্তু বিএনপি তো আন্দোলনের নামে তামাশার রাজনীতি করছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণ-আন্দোলনের নামে গণহত্যা করছে। চোরাগোপ্তা হামলা করছে। পেট্রোল বোমা, ককটেল ও বোমা হামলা করে মানুষ হত্যা করছে। চোরাগোপ্তা হামলা করে পৃথিবীর কোনো দেশে সরকার পতন হয়নি। সরকারের পতন ঘটাতে হলে হয় নির্বাচনে যেতে হবে, নয় গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। ১৯৬৯-এ দেশে একবার গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। এদেশে আর কোনো গণ-অভ্যুথান হয়নি।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার লোকের একটি মিছিল ও ৫০ হাজার লোকের জমায়েতও করতে পারেনি। যে আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত নাই, যে আন্দোলনের অর্থ হলো নাশকতা, সেই আন্দোলন কখনো যৌক্তিক পরিনতির দিকে যেতে পারে না।

এ সময় খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা  জিয়ার নিজস্ব বাসভবন রয়েছে। তারপরও তিনি অফিসে অবস্থান নিয়েছেন। অফিস থেকে তিনি বাড়িতে গিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করুক। জনগণ না চাইলে তো আমরা ক্ষমতায় থাকতে পারবো না। বোমাবাজি করে তো আর ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না।

মন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, জাতির জনক সম্পর্কে যারা কটূক্তি করে, তারা জাতির দুশমন। এদেশের অস্তিত্বকে সমূলে বিনাশ করে তারা রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু এদেশে তা কখনো হবে না।

এ সময় পদ্মা সেতু সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এটা জনগণের প্রাণের দাবি। যথা সময়ে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে। আর পদ্মা নদীর নামেই পদ্মা সেতুর নামকরণ করা হবে।
 
এর আগে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক চৌধুরী এমদাদুল হক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম ভূঁইয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ইকবাল, নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরণ রায়, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহাবুব আলী খান, এস এম আক্কাস আলী, প্রচার সম্পাদক এম বদরুল আলম বদর, টুঙ্গীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খায়ের, পৌর মেয়র সরদার ইলিয়াস হোসেন,  সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকসহ জেলা-উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর এফবিসিসিআই এর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তারা ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

এর আগে, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা  পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অপরদিকে, গোপালগঞ্জ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সকাল ৮টায় শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।