রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দুই দফায় উপজেলা চত্বরের সামনে বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও যুবলীগ নেতা তসিকুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতো বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশের রাবার বুলেটে গুলিবিদ্ধ দুইজন হলেন- শামীম ও রতন। এছাড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন- সাইফুল, শাহিন, নান্নু ও ফরহাদসহ আরও দুইজন। আহতদের চিকিৎসার জন্য বাঘা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও তার লোকজন জানান, বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের সমর্থক আমির হোসেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে ঈশ্বরদী থেকে বাঘা ফিরছিলেন। তিনি উপজেলা চত্বরের সামনে আসলে যুবলীগ নেতা তসিকুল ইসলাম ও তার লোকজন আমির হোসেনের গতিরোধ করে। তারা ২০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। আমির হোসেন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তসিকুল ইসলামের লোকজন তাকে মারপিট করে। ঘটনাটি জানতে পেরে আব্দুল কুদ্দুসের আরেক সমর্থক লাল চাঁন ঘটনাস্থলে যান আমির হোসনকে বাঁচাতে। তবে তসিকুলের লোকজন তাকেও মারে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে আব্দুল কুদ্দুসের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও কয়েক রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়।
রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবাব বুলেট নিক্ষেপ করে। উপজেলা চত্বর থেকে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অবস্থা শান্ত এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৫