ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

সিটি নির্বাচন

প্রত্যাহারপত্রে জোর করে সই নেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৫
প্রত্যাহারপত্রে জোর করে সই নেওয়ার অভিযোগ

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) উত্তর ও দক্ষিণ নির্বাচনে জোর করে প্রত্যাহারপত্রে সই নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

তাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নির্বাচন সমন্বয় কমিটি জোর করে প্রত্যাহারপত্রে সই নিয়েছে।


 
বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) ভুক্তভোগী প্রার্থীদের অনেকেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারপত্র গ্রহণ না করার জন্য আবেদন জানান।
 
ঢাকা উত্তর সিটির সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক রওশন আরা ডেইজী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দলের নেতারা ডেকে নিয়ে জোর করে প্রত্যাহারপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন। তখন বলা হয়েছিলো, সবার সই নিয়ে রেখেছি, যোগ্য প্রার্থীকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। কিন্তু বুধবার (০৮ এপ্রিল) দল থেকে যাকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে তিনি যোগ্য নন। তাই আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবো না। প্রয়োজনে আদালতে রিট করবো। এখানে ( কার্যালয়ে) এসেছিলাম, যেন আমার পক্ষে কেউ প্রত্যাহারপত্র জমা দিলে তা গ্রহণ করা না হয় তা জানাতে।
 
উত্তর সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমার প্রতিপক্ষ আমার অনিচ্ছায় একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। যা আমাকে পড়তে দেওয়াও হয়নি। আশঙ্কা করছি ওটাই প্রত্যাহারপত্র। কিন্তু আমি নির্বাচন করবো।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এজন্য আবেদনও করেছেন বলে জানান তিনি।
 
এদিকে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়েও এমন অনেক প্রার্থী অভিযোগ জানিয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ সাংবাদিকদের জানান, কোনো প্রার্থীর প্রত্যাহারপত্র জমা পড়লে তার সই মিলিয়ে দেখবো। যদি মিল পাওয়া যায় এবং সঙ্গে ক্ষমতাপত্র থাকে তবে সে প্রত্যাহারপত্র গ্রহণ করা হবে।

এক্ষেত্রে প্রার্থীদের কাউকে জোর করা হলে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি বা মামলা করতে পারেন বলেও জানান মিহির সারওয়ার।
 
প্রার্থীদের জোর করে প্রত্যাহারপত্রে স্বাক্ষর করার বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জান‍ান, নির্বাচনে সবাই তো সমঝোতা করে। ওরাও (বিএনপি) করছে, তাই আমরাও করছি।
 
কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে চান এমন বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা জানান, তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে জোর করে প্রত্যাহারপত্রে সই নেওয়া হয়েছে।
 
বৃহস্পতিবার ( ০৯ এপ্রিল) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিলো। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দুই মেয়র প্রার্থীসহ প্রায় ৫০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন।

নির্বচান কমিশনের তফসিল অনুযায়ী সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে চলতি মাসের ২৮ এপ্রিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৫
ইইউডি/টিআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।