ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে ও জড়িতদের খুঁজতে ইতোমধ্যে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
বৈঠকে কী বিষয়ে কথা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রতিনিধি দলটি সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অনুরোধ করেছে। উত্তরে আমরা বলেছি- আইনে যেভাবে আছে তারা সেভাবে দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর প্রতি সবার আস্থা রয়েছে।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ জানান, খালেদা জিয়ার গাড়ি বহেরে হামলার বিষয়ে, পুলিশের কাছ থেকে খবর নিয়েছি। দু’পক্ষ থেকেই মামলা হয়েছে। আমরা বলেছি অতি দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে যেন বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা উত্তরের বিএনপি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও তার বাস প্রতীক দিয়ে যে মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে অভিযোগ এসেছে নির্বাচন কমিশনে। এ নিয়ে সিইসি বলেন, অনেক অভিযোগই এসেছে, আসছে। আমরা প্রতিটি অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে মূলত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ আসছে। আমাদের কাছেও আসে। কোনোটাই বাদ যাবে না।
কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনে যারা প্রার্থিতা করছেন, তারা তাদের কর্মীদের সতর্ক করেছেন। এরপরও অতি উৎসাহী কর্মীদের জন্য আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। এজন্য প্রার্থীরা ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন। আচরণ ভাঙার একটি সংস্কৃতি চালু হয়ে গেছে। এই সংস্কৃতি আস্তে আস্তে পরিবর্তন হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সেনাবাহিনী যথেষ্ট কার্যকর। যথেষ্ট সুনামের বাহিনী। সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের বাহিনী। নির্বাচনে তারা সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করবে সে আস্থা আমাদের আছে।
বিচারিক কার্যক্রম আইন দিয়ে পরিচালিত হয় উল্লেখ করে সিইসি আরও বলেন, যেভাবে আইন আছে, সেভাবেই পরিচালতি হবে। আইনের বাহিরে কিছু ঘটলে তো হবে না। নির্বাচনে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, তারাই বিচারিক বিষয়টা দেখবেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, মো. শাহ নেওয়াজ, ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৫, আপডেট ২১০৬
ইইউডি/আইএ