ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

আব্বাসের মামলা ৩৭, দুর্নীতি ১৪৩ কোটি টাকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
আব্বাসের মামলা ৩৭, দুর্নীতি ১৪৩ কোটি টাকার মির্জা আব্বাস

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১৪৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ আছে। মামলা রয়েছে ১৭টি।

এরই মধ্যে অভিযোগগুলোর প্রমাণাদিসহ আদালতে চার্জশিটও দাখিল করেছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্বাসের পক্ষে এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট করা হলেও উচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেন।

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলাটি দায়ের হয় ২০১৪ সালের ৬ মার্চ। এ মামলায় মির্জা তার বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে সরকারের ১৮ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ টাকা দামের সাত একর জমি মাত্র ৩ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, দুর্নীতির ১৭ মামলা ছাড়াও মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের আরও ২০টি মামলা বিচারাধীন।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মির্জা আব্বাস এসব দুর্নীতি করেন বলে মামলাগুলোয় নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ-৪ আদালতে বিচারাধীন মামলার ব্যাপারে আদালতের তৎকালীন বিচারক শামসুননাহার বেগম বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযোগ গঠনের আদেশে উল্লেখ করা হয়, মির্জা আব্বাস গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে লাভবান হন এবং দলীয় একজন সংসদ সদস্য আলী আজগার লবীর মালিকানাধীন প্যাসিফিক কেমিক্যালস লিমিটেডের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান করার অসদুদ্দেশ্যে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় নবসৃষ্ট শিল্প প্লট বরাদ্দে বিনিয়োগ বোর্ডে সুপারিশ করেন।

এমনকি পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে আবেদনটি অসম্পন্ন থাকা সত্ত্বেও শিল্প প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর ১৯.৪৪ কাঠার পরিবর্তে ২০.৯৬ কাঠা জমির দখল হস্তান্তর ও পরবর্তী সময়ে লিজ দলিলের রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা করেন। এ অনিয়ম করে মির্জা আব্বাস ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ও দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা লঙ্ঘন করেছেন; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আরো যতো মামলা
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রমনা থানায় জননিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার জননিরাপত্তা ট্রাইবুন্যালে বিচারাধীন। মামলা নম্বর-৩৫। অন্যদিকে ২০০৪ সালের ২৮ মার্চ শাহজাহানপুর ঝিল মসজিদ পুকুর পাড়ে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) ছাত্র আরিফ মোরশেদ খানকে হত্যার অভিযোগে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় হত্যা মামলা হয়। এর এক বছর পর ২০০৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর শাহজাহানপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে রকিবুল ইসলামকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার অভিযোগে রকিবুলের চাচা আবদুল গফুর মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০০৮ সালে রকিবুল হত্যা মামলা ও ২০১২ সালে মোরশেদ হত্যা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

২০০৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আব্বাসের বাড়িতে বৈদেশিক মুদ্রা রাখার অভিযোগে মতিঝিল থানায় বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। মতিঝিল থানার মামলা নম্বর-৭০। মামলাটি বিচারাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।