ঢাকা: ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ-আটকসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাতের বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রতিনিধিরা গণমাধ্যমে এসব অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরা এক নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মামুন সরকার (মিষ্টি কুমড়া) ও ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেনের (ঘুড়ি মার্কা) সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে জহুরা মার্কেটের সামনের এ সংঘর্ষ হয়। র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শেখ আমির হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন। তবে, পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
শহজাহানপুর থানা পুলিশ মিন্টু নামে মীর্জা আব্বাসের এক এজেন্টকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহ্বায়ক প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ ও সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের কর্মীরা অসংখ্য ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক জরুরি বিবৃতিতে আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক হাসান জাফির তুহিন এ কথা জানান।
রাতে মীর্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে গণমাধমে বিবৃতি পাঠান। প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা টাকার বিনিময়ে ভোট কিনছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া, টিঅ্যান্ডটি স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল, বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি স্কুল, খিলগাঁও স্টাফ কোয়ার্টার স্কুলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ঢুকে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন ব্যালটে সিল মারছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় ২৩৫৭ ঘন্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৫
এমএম/এসকেএস/এমএন/এমজেড/