ঢাকা: সিটি নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের জন্য যেসব প্রতীক রাখা হয়েছে, তাতে জেন্ডার বৈষ্যম হয়েছে বলে অভিযোগ নারী প্রার্থীদের। তারা এসব প্রতীক অবিলম্বে পরিবর্তন করে বৈষ্যম দূর করার দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) উত্তর ও দক্ষিণ নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নারী প্রার্থীরা ওই অভিযোগ করেন।
ডিসিসি উত্তরের সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী মাসুমা খাতুন মুক্তি রোববার ইসির সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, আমাদের প্রতীক শিল-পাটা কেন? ঘরেই রাখতে চান?
তারমতো প্রায় সব নারী প্রার্থীই নারীদের ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী বা বস্তু প্রতীক হিসেবে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেদিন। তারা এগুলো পরিবর্তনের দাবিও জানান।
এদিকে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গেও মতবিনিময়কালে একই অভিযোগ শুনতে হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে।
দক্ষিণে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী শম্পা বসু সরাসরি সিইসিকে উদ্দ্যেশ করে বলেন, আমাদের জন্য প্রতীক রেখেছেন টিস্যু বক্স, পান পাতা, মুলা, কেটলির মত ব্যবহার যোগ্য দ্রব্য বা খাদ্য। যা কেবল মহিলারাই ব্যবহার করে বলে প্রচলন রয়েছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হতে এসেও কেন সে ধরনের প্রতীক পেতে হবে-প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শম্পা বলেন, নারীরা কেবল ঘরেই বসে থাকবে। তারা কি নির্বাচন করতে পারবে না। সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন বলে প্রতীক হিসেবে মহিলাদের ব্যবহারযোগ্য দ্রব্যগুলোই দিতে হবে, এ ধরনের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। এ প্রতীকগুলোর পরিবর্তন চাই।
তার এ দাবির সঙ্গে সঙ্গে সভাস্থলে উপস্থিত অন্য সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা সমস্বরে পরিবর্তনের কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন সিটি করেপোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য ১০টি প্রতীক সংরক্ষণ করেছে। এগুলো হলো-কেটলি, খাঁচা (পাখির খাঁচা), গ্লাস, টিস্যু বক্স, পান পাতা, বোয়াম, মুলা, মোড়া, শীল পাটা ও স্টিল আলমারি।
এই প্রতীকগুলো মেয়েরাই বেশি ব্যবহার করে বলে দাবী সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের।
আগামী ২৮ এপ্রিল ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন উপলক্ষে রোববার ও সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে মতবিনিময় সভা দুটি আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘন্টা, ১৩ এপ্রিল, ২০১৫
ইইউডি