ঢাকা: হাইকোর্টে জামিন নিতে এসে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইকোর্ট চত্বরে অবস্থান করে সবার অলক্ষ্যে পেছনের দরজা দিয়ে আদালত চত্বর ত্যাগ করলেন মির্জা আব্বাস।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কক্ষে অবস্থান করছিলেন।
তার আগে তিনি হাইকোর্ট থেকে বের হলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে, এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট সব মহলে।
তিন মামলায় জামিন নিতে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে অনেকটা গোপনেই হাইকোর্টে আসেন আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস।
বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের অভিযোগ ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর পল্টন থানায় এবং বিস্ফোরক আইনে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় দায়ের করা তিন মামলায় রোববার তার পক্ষে জামিন আবেদন করেছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।
সোমবার বিকেলে তিন মামলার মধ্যে দু‘টি শুনানি শেষে বুধবার এ ব্যাপারে আদেশ দেয়ার ঘোষণা দেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে এই দুই মামলায় তাকে হয়রানি না করার ব্যাপারে নির্দেশ দেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
তবে তৃতীয় মামলার শুনানি না হওয়ায় এবং এ ব্যাপারে হাইকোর্টের কোনো আদেশ না থাকায় মির্জা আব্বাস শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার এড়াতে পারবেন কি না তা নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশা। এ পরিস্থিতিতে বিকেলে শুনানি শেষে হাইকোর্ট চত্বর ত্যাগ না করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে অবস্থান নেন মির্জা আব্বাস।
সেখানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে আলোচনায় বসেন তার আইনজীবীরা।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হাইকোর্টের পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান মির্জা আব্বাস।
এর আগে সোমবারের শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, তিনি ( মির্জা আব্বাস) বাসায় যাবেন এবং আদেশের দিন হাইকোর্টে আসবেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি কোথাও যেতে পারবেন না, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না‘।
তবে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজউদ্দিন ফকির বলেছিলেন, আদালত শুধু দুটি মামলার ক্ষেত্রে বুধবার আদেশ দেবেন, বাকি মামলায় পুলিশ কি করবে সেটা তাদের ব্যাপার।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৫
এমইএস/টিআই/এএসআর/আরআই
** মির্জা আব্বাসের জামিন শুনানি শেষ, আদেশ বুধবার