ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

১৭ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব

আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের ইশতেহার প্রকাশ

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৫
আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের ইশতেহার প্রকাশ

ঢাকা: আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে ১৭টি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহার প্রকাশ করেছে দলটির নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়।



সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’র আহ্বায়ক ও বিএনপিপন্থি শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, সদস্য সচিব ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, সদস্য ও শিক্ষাবিদ আ ন হ আখতার হোসেন, সদস্য ও সাংবাদিক নেতা আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ। এতে লিখিত বক্তব্য দেন শওকত মাহমুদ।

ইশতেহারের মূল বক্তব্যে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে ঢাকাকে সকলের জন্য বাসযোগ্য, নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন মহানগর হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্যে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্য পূরণে আমরা সবসময় তৎপর থাকবো। ’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, লক্ষ্য পূরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসসহ আদর্শ ঢাকা আন্দোলন সমর্থিত সকল প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।

বিএনপির সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত এ সংগঠনের ইশতেহারে বিশেষত ১৭টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এগুলো হলো- ১. মহানগর ব্যবস্থাপনা; ২. মহানগর পরিকল্পনা; ৩. মহানগরের সড়ক যানবাহন ও পরিবহন ব্যবস্থা; ৪. শিক্ষাসেবা; ৫. স্বাস্থ্যসেবা ও রোগ প্রতিরোধ; ৬. মহানগরের বিপণন ব্যবস্থা; ৭. মহানগরের পরিবেশ সুরক্ষা; ৮. আবাসন সমস্যা; ৯. আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি; ১০. মানবাধিকার; ১১. নারী অধিকার রক্ষা; ১২. সামাজিক নিরাপত্তা; ১৩. মাদক দমন ও মাদকসেবীদের নিরাময় ও পুনর্বাসন; ১৪. খেলাধুলা ও বিনোদনের ব্যবস্থাপনা বাড়ানো; ১৫. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা; ১৬. তথ্যপ্রযুক্তি এবং ১৭. শিল্প বিকাশ।

ইশতেহার প্রকাশে লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’র আহ্বায়ক এমাজউদ্দীন আহমদ।

নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাদের তৎপরতা যে খুবই সন্তোষজনক তা-ও নয়। আমরা এরকম কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, দৃষ্টি আকর্ষণও করেছি। আমাদের পরামর্শের বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব।

এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা ইসির সঙ্গে ‍আলাপে দু’টি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। তাদের বলেছি, ভোটার যেন যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারে, সে নিশ্চয়তা দেওয়া হয় এবং প্রার্থী যেন ভোটারদের কাছে যেতে পারে সে সুযোগ দেওয়া হয়। নতুবা নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্যতা আসবে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপিপন্থি এ শিক্ষাবিদ বলেন, এমন অবস্থায় নির্বাচন হচ্ছে যখন একটি পক্ষের অনেক লোক জেলে এবং ভয়ে পালিয়ে আছে। এদের বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে সেসবের ধরনও অদ্ভুত। মামলায় দু’জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করে অজ্ঞাত আরও হাজার হাজার জনকে আসামি করা হচ্ছে; আর ইচ্ছেমতো যে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা এসব বিষয়েও ইসিকে বলেছি, এসবের সমাধান হলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

ডিএসসিসিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের প্রচারণার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ১৯ এপ্রিল যদি মির্জা আব্বাস জামিন পান তবে প্রচারণার জন্য তিনি সময় পাবেন মাত্র পাঁচদিন। এটা কোনো প্রার্থীর জন্যই পর্যাপ্ত নয়। বিরোধী দলের প্রার্থী এবং ভোটাররা যেন নড়াচড়া করতে না পারে সেজন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইসির সঙ্গে আলাপকালে আমরা নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে থেকেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছিলাম। এখনও সেই দাবি করছি। সেনা মোতায়েন থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

এছাড়া, নির্বাচনী প্লাটফর্ম ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’ সামগ্রিক ইশতেহার প্রকাশ করলেও প্রার্থীরা পৃথক পৃথকভাবে তাদের ইশতেহার প্রকাশ করতে পারেন বলে জানান সংগঠনের আহ্বায়ক।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৫/২০৪৬ ঘণ্টা
এমএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।