ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

ভোটারদের ক্ষমতা প্রয়োগেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৫
ভোটারদের ক্ষমতা প্রয়োগেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব ছবি: শাকিল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হলে অবশ্যই ভোটারদের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। যতদিন ভোটারদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা থাকবে ততদিন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

কারণ প্রশাসন মনে করে খেলাটা তাদের, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মনে করে খেলাটা তাদের, রাজনীতিবিদরা মনে করে খেলাটা তাদের। আর ভোটাররা শুধু উপলক্ষ।

বৃহস্পতিবার(১৬ এপ্রিল’২০১৫) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই দিতে পারে চলমান সংকটের সমাধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সাবেক বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রউফ এসব কথা বলেন।

এ গোলটেবিলের আয়োজন করে সেন্টার ফল ন্যাশনালিজম স্টাডিজ(সিএনএস)। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার ফাতেমা আনোয়ার।

সাবেক এই বিচারপতি বলেন, দেশের এই সংকটের মূল কারণই হলো নিয়মের বাইরে বিভিন্ন কার্যক্রম। সংবিধান থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজেই এর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ব্রিটিশরা আমাদের আইন করে নিয়ম ভঙ্গের অনেক কিছুই শিখিয়েছে।

প্রশাসনের হাতের ক্ষমতা থাকায় নির্বাচনে অনেক অনিয়ম শুরু থেকেই হয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত ৫০ বছরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলোর চরিত্র এক। শুধু মাঠে সবার সঙ্গে প্রশাসন এক নয়। প্রশাসনের ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তারা ভোটের অধিকার পকেটে ভরে জনগণের অধিকার হরণ করেন। ফলে ভোটাররা ভোট পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করতে পারে না। এতে নির্বাচনও সুষ্ঠু হয় না। তাই এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

আব্দুর রউফ বলেন, সবাই এখন বাটপার হয়ে গেছে। তা না হলে কি টিএসসিতে এমন ঘটনা ঘটে? প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ৫০০ কোটি টাকা হুন্ডিতে বের হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কারও হিসাব নেই। তবে এই প্রশাসনকে কিন্তু আমরাই নষ্ট করে ফেলেছি।
 
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওএসডি করার পদ্ধতিকে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকলে নিজের মতো করে প্রশাসন সাজাতে আমরা ব্যস্ত হয়ে যাই। পছন্দ মতো না হলে ওএসডি করে ঘরে বসিয়ে বেতন ভাতা দেই।

যারা নির্বাচন করে তারা হলো টাকার কাঙ্গাল উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল ছাড়া পৃথিবীতে গণতন্ত্রের চর্চা আসেনি। কাজেই দল লাগবে। তবে দলের মধ্য যে ভূত প্রবেশ করেছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জনগণের কাছে শক্তি দিতে হবে। শুধু টাকা বিনিয়োগ করে টাকা তোলার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এসময় তিনি একদিনে সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার পাশাপাশি নির্বাচনের বিভিন্ন পদ্ধতিও নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু দাবি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, প্রার্থীর নিরাপত্তা, হয়রানিমুক্ত সমান প্রচার প্রচারণার সুযোগ, কালো টাকা ও পেশি শক্তি, নির্বাচনের আগের রাত যেন চাঁদরাতে পরিণত না হয়, দলবাজ রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরকে বাদ দেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।

এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন আইনজীবী, রাজনীতিবিদসহ অনেকেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ১৬ এপ্রিল, ২০১৫
একে/এজেডকে/এনএস/

** রিকশাচালক, দিনমজুররাও নেতাদের সমালোচনা করছে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।