ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের জনগণের মুখোমুখি করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। অনুষ্ঠানে বিলম্বে আসায় প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়রপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল ক্বাফির ক্ষোভের মুখে পড়েন আনিসুল হক।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের এমানুয়েলস ব্যাংকুয়েট হলে এ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ‘একটি রাষ্ট্রে নাগরিকের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ নেই’।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ঢাকা উওরের মেয়রপ্রার্থীরা নিজেদের কথা জনগণের সামনে তুলে ধরেন ও নাগরিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বিলম্বে আসায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন। তিনি মঞ্চে উঠতে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ আল ক্বাফী উচ্চস্বরে বলেন, আমরা প্রচারণা বাদ দিয়ে জনগণের সম্মানে এসেছি এখানে। আর তিনি এলেন এখন! এটা কী? এখনই এমন, মেয়র হওয়ার পর কী করবেন তিনি?
তার এ মন্তব্যে কাজী শহীদুল্লাহও সায় দেন।
কিন্তু বিতণ্ডায় অংশ নিলেন না আনিস। বক্তব্যের শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নেন বুদ্ধিমান এ মেয়রপ্রার্থী।
তিনি বলেন, আমার আচরণ যদি আপনাদের আহত করে আমি ক্ষমা চাইছি। বিশেষ করে ক্বাফির কাছে। বসিলাতে একটি সাইকেল চালনার অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে বেশ ক’জন তরুণের সঙ্গে সাইকেল চালনায় যোগ দিয়েছি আমি। তাই আসতে দেরি হয়ে গেল। পোশাক না বদলে তাই এখানে ছুটে এসেছি।
এরপর নিজের খোলা চিঠি থেকে একটি অংশ পড়ে শুনিয়ে বলেন, তিনি মেয়র হলে এই ঢাকা হবে আরও নিরাপদ।
নির্বাচনকালীন এ বিনিয়োগ (ব্যয়) তিনি কীভাবে সামাল দেবেন- এমন প্রশ্ন করেন এক নাগরিক।
কৌশলে এর উত্তর দেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ মেয়রপ্রার্থী। তিনি বলেন, বিনিয়োগ আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আমার মা-বাবার স্মৃতি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত রয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি, আনিসুজ্জামান খোকন, শেখ শহীদুজ্জামান, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, নাদের চৌধুরী, এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, মো. জামান ভূঞা, শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ ও সুজনের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৫
এসকেএস/আরএম/
** ঢাকা উত্তরের প্রার্থীরা জনগণের মুখোমুখি