ফরিদপুর: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি কাজী জাফরউল্লাহ’র পথসভায় গুলির ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে থানার ভাঙ্গা থানার ওসিসহ ৭ জন আহত হয়েছে।
আহতদের পুলিশ ও স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আহতরা হলেন, ভাঙ্গা থানার ওসি নাজমুল ইসলাম (৫২), কাউলিবেড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পরারম গ্রামের জাহের মাতুব্বরের ছেলে ফরহাদ মাতুব্বর (৫৫), আজিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তারাইল গ্রামের হাজী ফরমান খানের ছেলে সোবাহান খান (৬৫), সদরপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা ও চরেরঘাট গ্রামের মৃত আহম্মদ আকনের ছেলে ইমারত আকন (৫৬), আড়িয়াল খাঁ গ্রামের আলিমদ্দিনের ছেলে সাহেব আলী মেম্বার (৪৮), কাউলিবেড়া ইউপি মেম্বার ও খাকড়া গ্রামের মৃত শেখ ওসমান মিয়ার ছেলে শাজাহান মিয়া (৫০) এবং পরারম গ্রামের দলিল উদ্দিনের ছেলে জমির মাতুব্বর (৬০)। আহতদের প্রায় সকলের পা ও বুকে জখম হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ী কুমপাড়া এলাকায় পথসভা করেন কাজী জাফরউল্লাহ্। এ উপলক্ষে শত শত নেতাকর্মী পথসভাস্থলে উপস্থিত হন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, পথসভায় কাজী জাফরউল্লাহ ভাষণ শুরু করার কয়েক মিনিট পরই মঞ্চের একপ্রান্ত থেকে অর্তকিত গুলির শব্দ শোনা যায়।
মঞ্চের এক প্রান্তে অবস্থান করা ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি দীপক মজুমদারের ব্যবহৃত শর্টগান থেকে অসাবধনতাবশত গুলিবর্ষণ হয়। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হুড়োহুড়ি শুরু করেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি জানান, শর্টগানটি জব্দ করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, শর্টগানের ছররা গুলিতে আহতদের শরীরে একাধিক স্পিøন্টার ঢুকে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫/ আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা
আরকেবি/এসইউ/এএ/এএসআর