ঢাকা: বিএনপি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী মির্জা আব্বাসকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘উনি মেয়র-মন্ত্রী ও এমপি থেকে শুরু করে সব ধরনের জনপ্রতিনিধি ছিলেন। আমি কিছুই ছিলাম না।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীচর মনিহার কমিউনিটি সেন্টারে এক নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে সাঈদ খোকন ভোটারদের এ আহ্বান জানান।
সাঈদ খোকন বলেন, উনি (মির্জা আব্বাস) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করার সময় কী কী কাজ করেছেন এটা আপনারা সবাই জানেন। একবার আমাকে নগরীর সেবা করার সুযোগ দিন। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাই এটি আমার ব্যক্তিগত মনোনয়ন নয়। এটা আপনার-আমার পুরো ঢাকাবাসীর মনোনয়ন।
কামরাঙ্গীচর এলাকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে এ প্রার্থী বলেন, এই এলাকায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম অনেক উন্নয়ন করেছেন। আমাকে নির্বাচিত করুন, মন্ত্রী (কামরুল ইসলাম) ও মেয়র মিলে এই এলাকাকে আরও উন্নত করবো।
‘আমার বাবা ঢাকার প্রথম মেয়র ছিলেন। তিনি নিজের জীবন আপনাদের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন, আমিও আমার জীবন বিলিয়ে দিয়ে নগরবাসীর সেবা করবো। আমাকে একটিবার আপনারা সুযোগ করে দিন’- বলেন সাঈদ খোকন।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হাজারীবাগ ঝাউচর বড় মসিজদের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। কামরাঙ্গীচরের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭নং ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান সাঈদ খোকন। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাধারণ কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
৫৫নং ওয়ার্ডের ভোটারদের উদ্দেশ্য করে সাঈদ খোকন বলেন, আপনার প্রথমে ইলিশ মাছ, এরপর নূরে আলম ভাইকে ঠেলাগাড়ি ও শিউলি হোসেন সরকারকে কেটলি মার্কায় ভোট দেবেন। আমাদের তিন জনকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন এটাই প্রত্যাশা।
কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত হাজারো সমর্থকদের উদ্দেশে ৫৫, ৫৬ ও ৫৭নং ওয়ার্ড নারী কাউন্সিলর প্রার্থী শিউলি বলেন, ইলিশ মাছে ভোট দেওয়ার পরই আমাদের কেটলি ও ঠেলাগাড়িতে ভোট দেবেন। আপনারা কেটলি মার্কায় ভোট দিন। কেটলিতে পানি গরম করতে দিয়েছি আপনাদের সবাইকে গরম চা খাওয়াবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-৭ আসানের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ৫৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী মো. নূরে আলমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
এমআইএস/আইএ