ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

রাবি উপাচার্য বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
রাবি উপাচার্য বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার অভিযোগ করেছে নগর আওয়ামী লীগ।

শনিবার(১৮ এপ্রিল‘২০১৫) দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন।

তারা অভিযোগ করেন, যোগদানের পর উপাচার্য  ১০ জন বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকের স্বজনদের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে ৪জন ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের জামায়াতপন্থী শিক্ষক রেজাউল করিমের শ্যালক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জামায়াতপন্থী শিক্ষক সালাম ভূইয়ার ভাতিজা ইসলামী ছাত্র শিবিরের ‘সাথী’ ফয়সাল জামান, সাবেক ছাত্র শিবির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপাচার্যের নিজ গ্রামের সাবেক শিবির নেতা আসিউজ্জামান এবং উপাচার্যের ভাগ্নে সাবেক শিবির নেতা হাবিবুল্লাহ। আসিউজ্জামান ইংরেজি বিভাগে এবং হাবিবুল্লাহ ফোকলোর বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন।

এছাড়াও বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাবেক উপাচার্য ফাইসুল ইসলাম ফারুকীর ছেলে এ. নাঈম ফারুকী ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে, বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাবেক উপাচার্য আলতাফ হোসেনের মেয়েকে ভূগোল বিভাগে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক সাফিউজ্জামানের(সাদা প্যানেলের সদস্য) স্ত্রী চৈতিকে অর্থনীতি বিভাগে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে তামজীদ হোসেন ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক শহিদুর রহমানের মেয়ে রিদা খাতুনকে দর্শন বিভাগে এবং বিএনপিপন্থী অপর এক শিক্ষকের স্ত্রী রাবেয়া বসরীকে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

একইভাবে উপাচার্য আঞ্চলিকতার কারণে জামায়াতপন্থী শিক্ষককে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শহীদ ফারুক হোসেনের বোনের চাকরি স্থায়ী করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গত ১৬ এপ্রিল বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের পৃষ্ঠপোষকতা, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি সম্পর্কে প্রতিবাদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফারুকের বোনের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানাতে উপাচার্যের দপ্তরে গেলে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। এ সময় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাত হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন। কিন্তু উপাচার্য তার অনিয়ম-দুর্নীতি আড়াল করতে গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।

৭ দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে ক্ষমা না চাইলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
এসএস/এসএন/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।