ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

আনিস, খোকন ও নাছিরকে বিটিএফ’র সমর্থন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
আনিস, খোকন ও নাছিরকে বিটিএফ’র সমর্থন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে ঢাকা উত্তরে আনিসুল হক, দক্ষিণে সাঈদ খোকন ও চট্টগ্রামে আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ)।
 
পাশাপাশি মানুষ পুড়িয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।


 
সোমবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সমর্থন ও আহ্বান জানায় বিটিএফ।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিটিএফ’র মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল বলেন, ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আনিসুল হক ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাঈদ খোকনকে সমর্থন দিয়েছেন। আমরাও তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।

চট্টগ্রামে নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সমর্থনের কথাও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আশা করছি তাদের মতো পরিচ্ছন্ন ও মেধাবীদের নগরপিতা হিসেবে নগরবাসী নির্বাচিত করলে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রাম আরও আধুনিক হবে।
 
আনিসুল হক, সাঈদ খোকন ও আ জ ম নাছির উদ্দীনের পক্ষে নিজেদের সর্বশক্তি নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান লায়ন এম এ আউয়াল।
 
তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে তরীকত ফেডারেশন সমর্থিত ‘তরীকত নাগরিক ঐক্য’র ব্যানারে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট দু’টি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
 
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিটি নির্বাচনে ভোট চাওয়ার বিষয়টিকে তিব্র সমালোচনা করে বিটিএফ’র চেয়ারম্যান আলহাজ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, সিটি নির্বাচনে ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন খালেদা জিয়া। তিন কোন মুখে ভোট চাইতে নেমেছেন। তার হাতে এখনও পোড়া মানুষের গন্ধ, মুখে এখনও উচ্চারিত হচ্ছে নাশকতার বুলি। তার নেতারা এখনও নাশকতা মামলার আসামি।
 
তিনি (খালেদা জিয়া) তিন মাস মানুষ মেরেছেন, অর্থনীতি ক্ষতি করেছেন, মায়ের বুক খালি করেছেন, স্ত্রীকে বিধবা করেছেন। সহিংসতায় নিহতরা তার কাছে কি দোষ করেছিলন? তিন মাসের আন্দোলন হঠাৎ বন্ধ করে তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এখন তিনি কোন যুক্তিতে মাঠে নেমেছেন? এমন প্রশ্নও তোলেন মাইজভাণ্ডারী।
 
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নজিবুল বশর বলেন, লেভেল প্লেনিং ফিল্ডের কথা বলে খালেদা জিয়া পুলিশ ও ৫০ জনের গাড়ি বহর নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। এটা কোনোভাবেই নির্বাচন আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না।
 
নির্বাচন কমিশন এই আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন আদালতের শরণাপন্ন হবে বলে জানান নজিবুল বশর।
 
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে খালেদা জিয়া নির্বাচন বাঞ্চাল করতে চেষ্টা করছেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সেনা মোতায়েনের দাবি করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকার ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে তাদের অধীনে নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
 
ভোট চাওয়ার আগে মানুষ হত্যার দায়ে খালেদা জিয়াকে প্রকাশ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি সশস্ত্র প্রটোকল ও গাড়িবহর প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তা না হলে জাতি কখনই খালেদা জিয়াকে ক্ষমা কারবে না বলেও জানান নজিবুল বশর।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
এএসএস/আইএএ/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।