যশোর: যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের আসাদ হল দখলে নিয়েছে ছাত্রলীগ।
সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আসাদ হলে অবস্থানরত এমএম কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হল ত্যাগে বাধ্য হয়।
তবে ছাত্রলীগের দাবি, আসাদ হল দখলে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতারা আস্তানা করে নানা অপকর্ম করে আসছিল। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের হল থেকে নামিয়ে দিয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে ছাত্রলীগ।
জানা গেছে, আসাদ হলের ১২০টি সিটের বিপরীতে ছাত্রদলের ৮০ নেতাকর্মী থাকত। তারা সবাই মালপত্র নিয়ে হল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমএম কলেজ শাখা ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানায়, শনিবার ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাদের বলা হয়, আসাদ হলের সব ছাত্রকে সোমবারের মধ্যে হল ছাড়তে হবে। অন্যথায়, তাদের জোর করে নামানো হবে। বিষয়টি তারা মৌখিকভাবে কলেজ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সহযোগিতা পায়নি। এরপর সোমবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা আসাদ হলে ঢুকে তাদের দ্রুত নামতে বলে।
এসময় তারা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে বলেও অভিযোগ ছাত্রদল নেতাদের। এছাড়া বাধ্য হয়ে হল ছাড়ার সময় অনেকের মোবাইল ফোন, টাকা ও অন্যান্য মালপত্র লুটের ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমএম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহবুব বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাড়িতে ছিলাম। তবে আসাদ হলের বড় ভাইয়েরা ফোন করে জানায়, দ্রুত হলে এসে জিনিষপত্র নিয়ে যাও, তাই নিয়ে যাচ্ছি।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রওশন ইকবাল শাহী বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে স্বাভাবিকভাবেই তারা হল ত্যাগ করেছে। ওই হলে এখন থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকবে।
হল ত্যাগের সময় কোনো লুটের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
যশোর সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ নমিতা রানী বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, আসাদ হলের ছাত্ররা সহজভাবে নেমে গেছে। তাদের হল ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে- এমন অভিযোগ পাইনি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তপন কুমার বাংলানিউজকে বলেন, আসাদ হলে ছাত্রদল-ছাত্রলীগ ঝামেলা করছে- এমন খবরের ভিত্তিতে আমরা (পুলিশ) ঘটনাস্থলে আসি। তবে আমরা পৌঁছানোর পর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তিনি জানান, পুলিশের সামনে শিক্ষার্থীরা মালপত্র নিয়ে আসাদ হল ত্যাগ করছে। তবে তারা কেন হল ছাড়ছে, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
এসআই/