ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের পর বিএনপির নতুন আবদার

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের পর বিএনপির নতুন আবদার ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ

ঢাকা: আর কি প্রয়োজন বলুন। সময় তো শেষ হয়ে আসছে।

মাত্র ৫ দিন বাকি আছে আর। প্রয়োজনের তালিকাটা তাই দ্রুত দিলেই ভালো হয়। এতে দেশ ও ‍জাতির যেমন মঙ্গল হবে, তেমনি আপনারাও সুযোগ পাবেন নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে দাবি আদায়ের।

সিটি নির্বাচনের মাঠে সেনা মোতায়েনের দাবি তুলেছিলেন আপনারা। আপনাদের সেই দাবি বাস্তবতার সঙ্গে কতোটা সঙ্গতিপূর্ণ সে নিয়ে এন্তার বিতর্কের সুযোগ আছে হয়তো, কিন্তু নির্বাচন কমিশন আপনাদের আহবানে সাড়া দিয়েছে। নির্বাচনের আগে-পরে মিলিয়ে মোট চার দিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।  

মঙ্গলবার বিকেলে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই আপনারা ছুটলেন নির্বাচন কমিশনে। বললেন, সেনাবাহিনীকে কেবল মাঠে নামিয়ে টহলে রাখলে হবে না। এতে সেনা নামানোর উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে না। তাই সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতাও দিতে হবে।

শুধু তাই নয়, ২৬ এপ্রিল নির্বাচনের দিনটিকে মাঝে রেখে নির্বাচন কমিশন ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিলেও আপনার বলছেন, এতে হবে না। সেনা নামাতে হবে আরো আগে, পারলে বুধবার থেকেই। নির্বাচনের পর অন্তত পাঁচদিন মাঠে রাখতে হবে সেনাবাহিনীকে।  

আপনারা আরো বলেছেন, অপরাধ যাই হোক, আগামী ৭ দিন বিএনপি সমর্থিত কোনো প্রার্থীকে গ্রেফতার করা যাবে না। রাজধানীর অধিকাংশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অন্যত্র বদলি করে দিতে হবে।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দলীয়ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে বললেন, সরিয়ে দিতে হবে তাদেরও।

পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করার জন্য পরামর্শ নিতে হবে সব প্রার্থীর।

নির্বাচনের মাত্র ৫ দিন আগে দাবির এই তালিকাটা কি বেশি বড় হয়ে গেলো না? নির্বাচন কমিশন কি এখন নির্বাচন করবে, নাকি কেবল আপনাদের দাবিই মিটিয়ে যেতে থাকবে?

সেনা মোতায়েনের দাবি তো আপনাদেরই ছিলো। তখন তো বিচারিক ক্ষমতার কথা বললেন না। আর ভোটের মাঠে সেনা মোতায়েন করে তাদের হাতে বিচারিক ক্ষমতা তুলে দেওয়ার ধারণাই বা আপনারা কোথায় পেলেন? সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স ছাড়া অন্য কোনোভাবে ভোটের মাঠে ব্যবহারের একটি নজিরও কি আপনাদের ঝুলিতে আছে?

নির্বাচনের মাত্র ৫ দিন আগে আপনাদের দাবি মেনে নিয়ে রাজধানীর ওসিদের যদি অন্যত্র বদলি করতে হয় তাহলে সেটা ম্যানেজ করবে কে? মাত্র ১০ দিনের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ওসিকে অন্যত্র বদলির নজিরইবা আপনারা কোথায় পেলেন!

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা যে সব দলীয়ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন সেটাও কি আপনাদের পক্ষে প্রমাণ করা সম্ভব?

এবার তাই ঝেড়ে কাশুন। বলুন আর কি আছে আপনাদের দাবির তালিকায়? কি কি পেলে সন্তুষ্ট হবেন আপনারা। সময় যে আর বেশি নয় তাও তো দেখাই যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকেও তো আপনাদের দাবি মোটানোর মতো যৌক্তিক সময় দিতে হবে। তাই আর কি কি প্রয়োজন দ্রুত বললে ভালো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।