ঢাকা: এখন আর মোটেই সখ্য নেই জামায়াত-বিএনপির। বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে যার যার দলীয় স্বার্থচিন্তা ২০ দলীয় জোটের প্রধান এই দুই শরিক দলের সম্পর্ককে জটিল টানাপড়েনের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
এমনকি এই দুই দলের মধ্যে অদূর ভবিষ্যতে তীব্র সংঘাত দেখা দিতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ’৯০ দশকে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের মধ্যে যে বৈরি সম্পর্ক বিরাজ করছিলো তা নতুন করে ভোগান্তিতে ফেলতে পারে ২০ দলীয় জোটকে।
দলীয় সূত্র বলছে, সরকার বিরোধী জোট বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক অনেক দিন ধরেই ভালো যাচ্ছে না। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতাদের বিচার শুরুর পর থেকেই মূলত চিড় ধরে এই দুই দলের সম্পর্কে। জামায়াত নেতাদের বিচার নিয়ে বিএনপির ভূমিকায় কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারেনি তারা। সম্প্রতি সেই অসন্তোষ আরো বেড়েছে।
বিশেষ করে গত ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার শুরু করা টানা অবরোধ ও দফায় দফায় হরতাল চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে কঠোর অবস্থানে ছিলো জামায়াত। কিন্তু বিএনপি ও জোট প্রধান খালেদা জিয়া হঠাৎ আন্দোলনে ঢিল দিয়ে ঘরে ফিরে যাওয়ায় হতাশা নেমে আসে জামায়াতে।
তারা মনে করছিলো- দেশব্যাপী টানা নাশকতা মাসের পর মাস চালিয়ে গেলে এক পর্যায়ে সরকার পদত্যাগে বাধ্য হতো। তাই খালেদা জিয়ার ঘরে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে ব্যক্তিগত আপোস বলেই মনে করছে জামায়াত। কেননা এরপর তারা দেশব্যাপী পেট্রোলবোমা ও ককটেল হামলা বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
সর্বশেষ আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি এককভাবে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষণা করলে জোটের ভেতরই ফুঁসে উঠে জামায়াত। বেশ ক’টি ওয়ার্ডে আলাদা করে প্রার্থীও দেয় তারা।
আর এই প্রার্থী দেওয়াকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয় চরম টানাপড়েন। এখন আর কোনো কর্মসূচিতেই বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের এক সঙ্গে দেখা যাচ্ছে না। তাদের শেষ যৌথ বৈঠক কবে হয়েছিলো তা হয়তো নিজেরাও ভুলে গেছেন। তুঙ্গে উঠেছে জামায়াত-বিএনপি দ্বন্দ্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
জেডএম