ঢাকা: গণতন্ত্র ও জনগণের স্বার্থে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন তার উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বুধবার খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার পর নয়াপল্টনে তার সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের বৈঠকের শেষে খন্দকার মাহবুব তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যতোই হামলা হোক, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) গণতন্ত্র ও জনগণের স্বার্থে নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রাখবেন। আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
খালেদা জিয়াকে হত্যার জন্যই তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয় অভিযোগ করে মাহবুব বলেন, আমরা জানতে চাই তারা (সরকার) গণতন্ত্র রাখবে কি রাখবে না। যদি না রাখে তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এগিয়ে আসেনি। বিএনপির আন্দোলনের সময় সরকার তাদের বাহিনী দিয়ে পেট্রোল বোমা মেরে বিএনপিকে জঙ্গি বানানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা তা পারেনি।
খন্দকার মাহবুব বলেন, তারা (সরকার) হঠাৎ করেই সিটি নির্বাচন দিয়েছে। তারা মনে করেছিল বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। খালেদা জিয়া গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। তাই সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছেন। সেই সমর্থতি প্রার্থীদের পক্ষে খালেদা জিয়া প্রাচারণায় নেমেছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণাও চালাচ্ছেন।
তিনি জানান, খালেদা জিয়া প্রচারণায় নামায় সরকার উন্মাদের মতো আচরণ করেছে। গত তিন দিনে তার গাড়িবহরে হামলা সেটাই প্রামণ করে।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যারা হামলা করেছে, সেই সোনার ছেলেরা কারা? কে তাদের প্রোটেকশন দিচ্ছে? এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোথায় ছিল? এমন প্রশ্নও তোলেন খন্দকার মাহবুব।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যদি ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মতো সিটি নির্বাচনেও প্রহসন করতে চান, বাংলাদেশকে বাকশাল বানাতে চান, তাহলে দেশের জনগণই তাদের গণতন্ত্রের পথ বেছে নেবে।
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হমলার বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, ইসিকে বলবো তারা যদি গণতন্ত্র রক্ষা করতে চায়, তাহলে এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। তা নাহলে জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। আপনাদের মীর জাফর ভাববে।
তিনি বলেন, এই সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের বিজয় হবে। কারণ কোনো স্বৈরশাসন জনগণের বিরুদ্ধে বেশিদিন দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না ।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের লেবাস পরে যে গণতন্ত্র চালানো হচ্ছে, সেই গণতন্ত্র চলতে দেওয়া হবে না।
সিটি নির্বাচন নিরপেক্ষ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, বিগ্রেডিয়ার (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহবায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ প্রমুখ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার আগে তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। ব্রিফিংয়ের পর ফের খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন তারা।
রাত সাড়ে ন'টার দিকে খালেদা জিয়া বাসার পথে রওয়ানা হন। প্রায় দু'বছর পর তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
জেডএম/টিআই
** কেন্দ্রীয় অফিসে বৈঠকে খালেদা, উত্তাপ বাড়ছে নয়াপল্টনে
** গাড়ি বহরে হামলার পর নয়াপল্টনে খালেদা
** খালেদার গাড়ি বহরে ফের হামলা