যশোর: যশোর জেরা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক, যশোর পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলামসহ বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ এনে কোতয়ালি মডেল থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, আসামিদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুর রহমান তোতন, নগর বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ নূরুন্নবী, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও পৌরসভার কাউন্সিলর হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে মুল্লুক চাঁদ, তার ভাই কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য রিপন চৌধুরী, সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আঞ্জুরুল হক খোকন, সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদল সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান লিটু প্রমুখ।
এজাহারে বলা হয়, মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটার দিকে হরতালের পক্ষে মিছিলসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা শহরের মুজিব সড়কে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের সামনে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পায় পুলিশ।
এ সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তানভীর রায়হান তুহিন, মনিরুজ্জামান লিটু ও আজিম নামে তিনজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পলাতক আসামিদের নাম প্রকাশ করেন।
পুলিশ আটক তিনজনের কাছ থেকে তিনটি পেট্রোলবোমা, পাঁচটি বাঁশের লাঠি ও চার জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করেছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, জেলা বিএনপির একাধিক নেতা বাংলানিউজকে জানান, জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রত্যেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পাঁচটি-ছয়টি কিংবা তারও বেশি সংখ্যক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতার এড়াতে তারা বিগত তিন-চার মাস আগে থেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে ফেরারী জীবন যাপন করছেন। ফলে যশোরে এসে মিছিল-মিটিং করার কোন প্রশ্নই ওঠে না। তবুও পুলিশ আবারও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
এমজেএফ/